জেলা

গঙ্গা ভাঙ্গনে ব্যাপক ক্ষতি মালদা ও মুর্শিদাবাদে, কেন্দ্রকে তোপ মুখ্যমন্ত্রী

প্রতিদিন গঙ্গা ভাঙ্গনে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক বাড়ি। ভয়াবহ চিত্র সামশেরগঞ্জ এলাকায়। রিপোর্ট উঠে আসছে ২০ মিটার ও ১০০ মিটার এলাকায় একাধিক বাড়ি এখনও বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে ৷ কেন্দ্রের কাছে ভাঙ্গন রোধে বারবার সাহায্য চাওয়া হলেও, মিলছে না কোনও সাহায্য। রাজ্যের উদ্যোগেই চলছে কাজ, পুনর্বাসন। ২০২৩ সালের ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরেজমিনে দেখে আসেন ভাঙ্গন বিধ্বস্ত সামশেরগঞ্জ ৷ তিনি সঙ্গে সঙ্গেই বরাদ্দ করেছিলেন ১০০ কোটি টাকা। সেই টাকায় কাজ শুরু হয় ৷ ছ’টি জায়গা রয়েছে যা ভাঙ্গনে বিপর্যস্ত৷ এর মধ্যে পাঁচটি জায়গায় কাজ শুরু হয়েছে৷ নির্বাচনী বিধির জন্য একটা টেন্ডার আটকে ছিল। সেটার কাজও শুরু হবে শীঘ্রই। ভাঙ্গনের কারণে যে সমস্ত এলাকায় বাড়ির ক্ষতি হয়েছে, তা হল-নিমতিতা ৪৪৮ বাড়ি, চাচন্দা ২২০ বাড়ি, প্রতাপগঞ্জ ২২৩ বাড়ি, বোগদাদনগর ১৫৭ বাড়ি এবং তিনপুকুরিয়া ৭৫ বাড়ি- এই সমস্ত এলাকায় রাজ্য সরকার তাদের কাজ শুরু করেছে ৷ সেচ দফতর, পঞ্চায়েত দফতর, জেলা প্রশাসন-সহ স্থানীয় পুরসভা লাগাতার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ভয় ধরাচ্ছে ২০ মিটার ও ১০০ মিটার এলাকায় ভাঙ্গনের ভয়। ২০ মিটার দূরত্বে বিপদজনক অবস্থায় যে সব বাড়ি রয়েছে- নিমতিতা ৩৭১ বাড়ি, চাচন্দা ২৪৪ বাড়ি, প্রতাপগঞ্জ ২৫ বাড়ি, বোগদাদনগর ২৯৩ বাড়ি, এবং তিনপুকুরিয়া ৮ বাড়ি ৷ রাজ্য সেচ দফতর সূত্রে খবর, ইউপিএ আমলে ফারাক্কা ব্যারেজ  অথরিটির দায়িত্ব ছিল ১২০ কিমি অংশ তদারকি করার। যার মধ্যে আপ স্ট্রিমে ৪০ কিমি ও ডাউন স্ট্রিমে ৮০ কিমি অংশ ছিল। কিন্তু বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার মাত্র ১৯ কিমি দায়িত্ব নিয়েছে বলে অভিযোগ। রাজ্যের সেচ মন্ত্রী কিছুদিন আগেই এই সব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে এসেছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মালদহ, মুর্শিদাবাদের এই সমস্ত এলাকার মানুষ কি মঙ্গল গ্রহ থেকে এসেছেন ! যে তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হচ্ছে?’’