বুধবার সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের জলগাঁও জেলায় মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। এখনও সরকারিভাবে হতাহতের সংখ্যা জানানো হয়নি। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। কিন্তু, কী ভাবে ঘটল এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা? মুম্বই থেকে সেন্ট্রাল রেলওয়ের সিপিআরও স্বপ্নীল কুমার লীলা বলেছেন, ‘লখনৌ থেকে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাসের দিকে আসার পতে জলগাঁওয়ের পাচোরায় পুষ্পক এক্সপ্রেসে কেউ অ্যালার্ম চেইন টেনেছিলেন। এর পর, কয়েকজন যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। ঠিক সেই সময় সেখানে বিপরীত দিক থেকে আসছিল কর্নাটক এক্সপ্রেস। সেই ট্রেন ধাক্কা মারে পুষ্পক এক্সপ্রেস থেকে নেমে পড়া যাত্রীদের।’ দিল্লি থেকে রেলওয়ে বোর্ডের তথ্য ও প্রচার বিভাগের কার্যনির্বাহী পরিচালক, দিলীপ কুমার জানিয়েছেন, ‘ভুসাওয়াল থেকে বেশ কয়েকজন ট্রেনে উঠেছিলেন। তাঁদের একজন অ্যালার্ম চেইন টেনে ফেলেন। এর পর, তারা ট্রেন থেকে নেমে পাশের লাইন পার হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, অথবা লাইনের উপর দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময়ই এসে পড়ে কর্নাটক এক্সপ্রেস। ফলে তাদের সঙ্গে ট্রেনের ধাক্কা লাগে।’ রেলের আরেক কর্তা জানিয়েছেন, আগুন লাগার গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল পুষ্পক এক্সপ্রেসে। তিনি জানিয়েছেন, অ্যাক্সেল গরম হয়ে গিয়ে বা ব্রেক-জ্যাম হয়ে গিয়ে পুষ্পক এক্সপ্রেসের একটি সাধারণ কোচের ভিতর, আগুনের স্ফুলিঙ্গ এবং ধোঁয়া দেখা গিয়েছিল। তা থেকেই আতঙ্ক ছড়ায়। এর পরই কয়েকজন যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে পড়ে ছিলেন। দুর্ঘটনার আগে তোলা ঘটনাস্থলের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে পুষ্পক এক্সপ্রেস তার লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সংলগ্ন রেললাইনে ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছেন বহু মানুষ।