নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন ক্রিস ডেভিস
সরকার যেভাবে কাশ্মীর দেখাতে চেয়েছিল, সেভাবে নয়। নিজের মতো করে ঘুরতে চেয়েছিলেন ক্রিস ডেভিস। কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজের মতো করে পর্যবেক্ষণ করতে চেয়েছিলেন। আর সেই কারণেই আমন্ত্রণ পাঠিয়েও শেষ মুহূর্তে উপত্যকায় ঢোকার অনুমতি দেওয়া হল না ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ইংল্যান্ডের লিবারাল ডেমোক্র্যাটদের প্রতিনিধি ক্রিস ডেভিসকে। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ তুললেন তিনি। মোদি সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের ওপর আঘাত আনারও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। স্বাধীন কাশ্মীরের পরিস্থিতি ঘুরে ঘুরে সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন ডেভিস। এমনকি সঙ্গে কোনও নিরাপত্তারক্ষীও রাখতে চাননি তিনি। এই বিষয়টি জানিয়ে মাদি শর্মাকে একটি মেলও করেছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরেই তাঁকে মেল করে জানানো হয় যে তিনি এই মুহূর্তে কাশ্মীর যেতে পারবেন না। এই দাবি জানানোর জন্যই তাঁকে কাশ্মীরে যেতে হয়নি বলে জানিয়েছেন ডেভিস। তিনি জানিয়েছেন, ‘স্বাধীন ভাবে কাশ্মীরের পরিস্থিতি ঘুরে দেখতে পারব, যার সঙ্গে ইচ্ছা কথা বলতে পারব, সেনাকর্মী বা পুলিশকর্মীদের না নিয়ে, স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারব ভেবেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলাম। তাতে মোদী সরকারের এত আপত্তি কেন? সাংবাদিক এবং দেশের রাজনীতিকদেরই বা কেন স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না? ভারত সরকার ঠিক কী লুকোতে চাইছে?’ উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের এমপি ক্রিস ডেভিস। তিনি জানিয়েছেন, গত ৭ অক্টোবর উইমেনস ইকনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল থিঙ্কট্যাঙ্ক (ওয়েস্ট) নামের একটি সংস্থার পক্ষ থেকে উপত্যকায় যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় তাঁকে। ডেভিসকে জানানো হয়, ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে ২০ অক্টোবর কাশ্মীর যেতে হবে। তার পর দিন বাকিদের সঙ্গে একটি সাংবাদিক বৈঠকে অংশ নিতে হবে তাঁকে। আসা-যাওয়া, থাকা-খাওয়া সব খরচই জোগাবে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর নন অ্যালাইনড স্টাডিজ। আমন্ত্রণ পাওয়ার পর দিন, অর্থাৎ ৮ অক্টোবরই তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করে একটি মেল করে তাতে নিজের দাবিগুলি রেখেছিলেন। সেনাবাহিনীর সঙ্গে না গিয়ে স্বাধীন ভাবে কাশ্মীর ঘুরে দেখতে চান বলেও জানিয়ে দেন। তার পরেই ১০ অক্টোবর তাঁর আমন্ত্রণপত্র বাতিল করা হয়।