কলকাতাঃ কলকাতায় নিয়ে আসা হল জঙ্গি হামলায় নিহত পাঁচ বাঙালি শ্রমিকের দেহ। কাশ্মীর থেকে কফিনবন্দী হয়ে বাংলায় ফিরল পাঁচ শ্রমিকের দেহ ৷ রাত ১১টা নাগাদ তিন শ্রমিকের মৃতদেহ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছায় ৷ ১২.১০ মিনিট নাগাদ বাকি দু’জনের মৃতদেহ আসে ৷ একই সঙ্গে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে জঙ্গিদের গুলিতে আহত শ্রমিক জহিরুদ্দিন- সহ আরও এক শ্রমিককে। তাঁদের দ্রুত চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিমানবন্দর থেকে নিহত শ্রমিকদের দেহ মুর্শিদাবাদে নিয়ে যাওয়া হবে। এ দিন রাতে শ্রীনগর থেকে দিল্লি হয়ে দু’টি পৃথক বিমানে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় নিহত শ্রমিকদের দেহ। একটি বিমানে তিনজন শ্রমিকের দেহ আনা হয়। অন্য একটি বিমানে আনা হয় বাকি দুই শ্রমিকের দেহ। নিহত শ্রমিকদের দেহ নেওয়ার জন্য বিমানবন্দরে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন পুরমন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম- সহ তৃণমূল নেতারা। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সবকিছুর তদারকি করেন ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নিহত শ্রমিকদের দেহ নিয়ে মুর্শিদাবাদে যান পুরমন্ত্রী। মঙ্গলবার কাশ্মীরের কুলগামে জঙ্গি হামলায় নিহত হন মুর্শিদাবাদের পাঁচ বাঙালি শ্রমিক। মৃতদের নাম মুরসালিম শেখ, কামিরুদ্দিন শেখ, শেখ মহম্মদ রফিক, শেখ নিজামুদ্দিন এবং মহম্মদ রফিক শেখ। এ ছাড়াও জহিরুদ্দিন নামে এক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হলেও প্রাণে বেঁচে যান। শ্রীনগরের হাসপাতালেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। সেখান থেকে এ দিন রাতে তাঁকেও কলকাতায় পাঠানো হয়। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, কলকাতার হাসপাতালেই তাঁর চিকিত্সার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বিমানবন্দর থেকেই অ্যাম্বুল্যান্সে আহত জহিরুদ্দিনকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পাঁচজনের মৃতদেহ সাগরদিঘি নিয়ে যাওয়ার জন্য বিমানন্দরের বাইরে পাঁচটি শববাহী গাড়ি রাখা ছিল ৷ বিমানবন্দরে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সড়ক পথেই সাগরদিঘির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় শববাহী গাড়ি গুলি। মৃতদেহগুলি নিয়ে সাগরদিঘির রওনা দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম ৷