আসানসোলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ধরা পড়ল অভিযুক্তরা। রবিবার গভীর রাতে আসানসোলে ওই ঘটনার পরে হাওড়ার জগাছায় আত্মগোপন করেছিল জামসেদপুরের কুখ্যাত দুষ্কৃতীরা। সেখান থেকেই সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হল তাদের। রবিবার রাতে আসানসোল দক্ষিণ থানার স্টেশন রোডে টহল দিচ্ছিলেন ওই থানার কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। এ সময় একটি অটো এসে দাঁড়ায় সেখানে। অটো থেকে নামে তিন যুবক। তাদের হাবভাব দেখে সন্দেহ হওয়ায় আসানসোল দক্ষিণ থানার এসআই সন্দীপ পাল দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিয়ে এগিয়ে যান। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে বন্দুকের বাঁট দিয়ে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মাথায় আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। এরপরেই পরপর গুলি ছোড়ে তারা। গুলিবিদ্ধ হন সন্দীপবাবু ও পুলিশের গাড়ির চালক অরিজিত্ সামন্ত। তাঁদের লুটিয়ে পড়তে দেখে ছুটে যান টহলরত অন্য পুলিশকর্মীরা। তবে তার আগেই সেখান থেকে গা ঢাকা দেয় ওই দুষ্কৃতীরা। যেখানে ওই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে রাস্তার সিসিটিভি ক্যামেরা খারাপ। তবে আসানসোল স্টেশনের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ওই দুষ্কৃতীদের সনাক্ত করে পুলিশ। জানানো হয়, জামসেদপুরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী সোনু সিংয়ের দলই এই ঘটনায় জড়িত। তাদের পাকড়াও করতে জোরদার তত্পরতা শুরু হয়। সতর্ক করা হয় বর্ধমান ও লাগোয়া জেলার থানাগুলিকে। বেশি রাতে খবর আসে হাওড়ার জগাছা স্টেশনে বসে থাকতে দেখা গেছে ওই দুষ্কৃতীদের। সঙ্গে সঙ্গে হাওড়া পুলিশের সাহায্যে সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত সোনু সিং, বীরেন্দ্র সিং ওরফে মুন্না এবং সন্দীপ চৌধুরী তিনজনই ডাকাতি, ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত। তাদের কাছ থেকে একটা আগ্নেয়াস্ত্রও পাওয়া গেছে।