দেশ

যৌন কেলেঙ্কারি সহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত নিত্যানন্দ রয়েছেন ইকুয়েডরে! কিনেছেন দ্বীপ

অপহরণ এবং যৌন কেলেঙ্কারি সহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু নিত্যানন্দ কি দেশের বাইরেই আছেন, পষ্টাপষ্টি এমন তথ্য জানাতে পারেনি বিদেশমন্ত্রক। তবে সূত্রের খবর, বর্তমানে দেশের বাইরেই আছেন ‘গডম্যান।’ ইকুয়েডরের কাছে একটা দ্বীপই নাকি কিনে ফেলছেন। সেখানে আশ্রম সাজিয়ে ফের লোকজনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন এমন তথ্যও মিলেছে বিভিন্ন সূত্র থেকে। ‘নতুন দেশ’, নিজের সাম্রাজ্যকে এভাবেই ব্যাখ্যা করে একটা ওয়েবসাইটও নাকি খুলে ফেলেছেন নিত্যানন্দ। স্বঘোষিত ধর্মগুরুর ভাষায়, তাঁর নতুন ডেরা থুরি ‘দেশ’ নাকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ । কী কী রয়েছে তাঁর সাম্রাজ্যে? সূত্রের খবর, গোটা দ্বীপে নাকি একাধিক মন্দির তৈরি করাচ্ছেন নিত্যানন্দ। গাছপালা ঘেরা আশ্রমে যোগচর্চার বন্দোবন্দও আছে। আর আছে গুরুকুল আশ্রম। শিষ্যদের জন্য বিনামূল্যে থাকা, খাওয়া, চিকিৎসার ব্যবস্থাও আছে সেখানে। স্বঘোষিত ধর্মগুরু নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ একাধিক। ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে হিমাচল প্রদেশের সিমলার ৫০ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রাম থেকে যৌন কেলেঙ্কারির দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল নিত্যানন্দকে। গত বছর জুন মাসেও কর্ণাটকের গডম্যান স্বামী নিত্যানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে চার্জ গঠিত হয়েছিল। অপহরণ ও আমদাবাদের শিশুদের বেআইনি ভাবে আটকে রাখার অভিযোগও উঠেছে তাঁর ও তাঁর কয়েক জন অনুগামীর বিরুদ্ধে। সেই সূত্রে প্রাণপ্রিয়া ও প্রিয়তত্ত্ব নামের দুই মহিলাকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। এরপর জনার্দন শর্মা নামে এক ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রী গুজরাত হাইকোর্টে অভিযোগ করেন, ২০১৩ সালে তাঁদের চার মেয়েকে ভর্তি করেছিলেন নিত্যানন্দর বেঙ্গালুরুর শিক্ষায়তনে। তখন তাদের বয়স ছিল সাত থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। পরে তাঁরা শুনতে পান, মেয়েদের বেঙ্গালুরু থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা নাকি এখন আমদাবাদে যোগিনী সর্বজ্ঞপীঠম নামে এক শিক্ষায়তনে আছে। একথা শুনে তাঁরা মেয়েদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু আমেদাবাদের শিক্ষায়তনের কর্মকর্তারা দেখা করতে দেননি। পরে পুলিশের সাহায্যে তাঁরা দুই নাবালিকা কন্যাকে ফেরত পান। কিন্তু বড় দুই মেয়ে তাঁদের সঙ্গে আসেনি। তাদের এক জনের নাম লোপামুদ্রা (২১), অপর জনের নাম নন্দিতা (১৮)। গুজরাত হাইকোর্টে ওই দম্পতির অভিযোগ, লোপামুদ্রা ও নন্দিতাকে আশ্রম কর্তৃপক্ষ দু’সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আটকে রেখেছে। এমনকি তাঁদের উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগও ওঠে। তদন্ত শুরুর পরেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান নিত্যানন্দ। এখন শোনা যাচ্ছে একেবারে দেশের বাইরেই আস্তানা তৈরি করে ফেলেছেন নিত্যানন্দ।