বুধবারের পর বৃহস্পতিবার ফের রাজ্য-রাজ্যপাল বিরোধ চরমে উঠলো। বন্ধ বিধানসভার গেট। অন্য গেট দিয়ে ঢুকলেন রাজ্যপাল। পূর্ব ঘোষণা মতো সকাল সাড়ে দশটাতেই বিধানসভার গেটে হাজির হয়ে যান রাজ্যপাল। নির্দিষ্ট গেল খোলা না থাকায় তিনি অন্য গেট দিয়ে বিধানসভায় প্রবেশ করেন। সাধারণভাবে বিধানসভায় ৩ নম্বর গেটটি রাজ্যপালের জন্য বরাদ্দ। কিন্তু এদিন বিধানসভায় স্পিকার না থাকায় সেই গেট খোলার নির্দেশ মার্শালের কাছে ছিল না। তাই মার্শাল জানিয়ে দেন, তিনি ওই গেট খুলতে পারবেন না। কিছু দিন আগে সস্ত্রীক বিধানসভা ঘুরে দেখার আবদার জানিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সেই চিঠিতে সাড়া দিয়ে আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন অধ্যক্ষ। কিন্তু বৃহস্পতিবার বেলা গড়তেই পরিবর্তন হয় পরিস্থিতির। এদিন বিএ কমিটির বৈঠক বাতিল করা হওয়ার জেরে অধ্যক্ষ, শাসক দলের মুখ্যসচেতক কিংবা পরিষদীয় দলনেতা কেউই উপস্থিত থাকবেন না। ফলে রাজ্যপালকে বৃহস্পতিবারের বদলে শুক্রবার বিধানসভায় আসতে অনুরোধ করা হয়, বিধানসভার সচিবালয়ের পক্ষ থেকে। তবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর সেই অনুরোধ রাখেন না।। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিনি বৃহস্পতিবার সকালে হাজির হন বিধানসভার সামনে। এদিন বিধানসভার বন্ধ গেটের সামনে রাজ্যপাল জানান, “অধিবেশন মুলতুবি মানে বিধানসভা বন্ধ নয়। আমি একসময় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ছিলাম। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং ঘটনা। গণতন্ত্র এভাবে চলতে পারে না।”