তাঁর যাদুতে কাবু হয়েছেন দেশ বিদেশের বহু নারী। অবশ্য শুধু নারী নয় তাঁর ভক্তের তালিকায় আছেন বহু পুরুষও। বলিউডে তাঁর পায়ের তালেই এসেছিল নাচের নয়া ধারা। কাহো না পেয়ার হ্যা’ ছবি দিয়েই বলিউডে পাকাপাকিভাবে যাত্রা শুরু করেন হৃত্বিক রোশন। যদিও শিশু শিল্পী হিসেবে আগেই কাজ করেছিলেন তিনি। নিজের অভিনয় এবং নাচের তালে আপামর সিনেমাপ্রেমীদের মাতিয়ে দিয়েছেন হৃত্বিক। তাঁর হ্যান্ডসম লুক দিয়ে সকলের মন জয় করতে বেশি সময় লাগেনি এই ছয় আঙ্গুলের তারকার। তাঁর এই লুকের জন্যই গত এক দশকে এশিয়ার সেক্সিতম পুরুষের খেতাব পেলেন এই বলিউড তারকা। ব্রিটিশ সাপ্তাহিক সংবাদপত্র ইস্টার্ন আই-এর উদ্যোগে করা এই পোলে অংশ নিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ভক্তরা। বুধবার লন্ডনে প্রকাশিত হয় সেই পোলের ফলাফল।ফল প্রকাশিত হওয়ার পর সামনে এসেছে এই খুশির খবর। সারা বছর বক্স অফিসে প্রতাপ এবং সোশ্যাল নেটওয়র্কিং সাইটে জনপ্রিয়তার নিরিখে সবাইকে পিছনে ফেলে সেরার সেরা শিরোপা পেলেন বলিউডের হার্টথ্রব হৃত্বিক। তবে শুধু ২০১৯ সালই নয়, গত এক দশকের সেক্সিতম পুরুষের তকমাও ছিনিয়ে নিলেন তিনিই। এই খবর পেয়ে উচ্ছ্বসিত হৃত্বিক জানালেন, ‘যাঁরা আমার সম্পর্কে এমনটা মনে করেন এবং আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। একজন মানুষকে কেমন দেখতে তার নিরিখে তাঁকে বিচার করি না আমি। এমনকি নিজেকেও এই মাপকাঠিতে বিচার করি না। জীবনে চলার পথে একজন মানুষের চেহারা কখনওই সাফল্যের মাপকাঠি হতে পারে না। যে কোনও মানুষেরমধ্যে যে জিনিস আমাকে আকৃষ্ট করে তা হল, জীবনে চলার পথে তিনি কীভাবে পদক্ষেপ করেছেন, বিভিন্ন পরিস্থিতির মোকাবিলা কীভাবে করেছেন। কোনও চরিত্রের জন্যে নিজের লুক পাল্টে ফেলা আমার পেশার অঙ্গ। আর তার জন্যে অনেক কষ্টও করতে হয়। ’ এশিয়ার সেক্সিতম পুরুষের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন শাহিদ কাপুর। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন টাইগার শ্রফ। ইস্টার্ন আই এন্টারটেনমেন্ট-এর সম্পাদক আসজাদ নাজির অবশ্য জানিয়েছেন হৃত্বিকের এই সাফল্যের পিছনে শুধুমাত্র তাঁর শারীরিক আবেদনই নয়, রয়েছে তাঁর দীর্ঘ বর্ণময় অভিনয় জীবনের অবদানও।