নয়াদিল্লিঃ আজ ভোরবেলায় গ্রেপ্তার হলেন ভীম সেনার নেতা চন্দ্রশেখর আজাদ।। শুক্রবার সকাল থেকে জামা মসজিদের সামনে চলছিল শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ। সেখান থেকেই দিল্লি পুলিশ তুলে নিয়ে গেল আজাদকে। শুক্রবার সকাল থেকেই দলিত সংগঠন ভীম সেনার নেতা চন্দ্রশেখর আজাদের নেতৃত্বে ক্যা–বিরোধী প্রতিবাদ চলতে থাকে। জামা মসজিদের চারদিকে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। আজাদকে মসজিদে ঢুকতে দেবে না, জানিয়ে দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু দুপুর দেড়’টা নাগাদ আজাদ শাল গায়ে দিয়ে ফেজ টুপি পরে লুকিয়ে মসজিদের ভিতরে ঢুকে পড়েন। আজাদ জানান, ‘৫৪ শতাংশ দলিতের কাছে জমি নেই। তাঁরা নাগরিকত্ব প্রমাণের দলিল কোথা থেকে দেবেন? সরকারের সুরক্ষিত লকারে রাফালের কাগজপত্র পর্যন্ত চুরি হয়ে যায়। আর এই হতদরিদ্র মানুষগুলোর কাছে এত পুরনো কাগজ চাইছে কীকরে? তাই আমাদের লড়াই সরকারের এই অনুচিত আইনের বিরুদ্ধে। হিংসার পক্ষপাতী নই আমরা। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চলবে সেদিন পর্যন্ত যেদিন অমিত শাহ পদত্যাগ করবেন।’ সন্ধ্যে থেকেই চন্দ্রশেখর আজাদ জামা মসজিদের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করে শোনাতে থাকেন বিক্ষোভকারীদের। এরপর মসজিদের ২ নম্বর গেট দিয়ে একটি মিছিলও বের করা হয়। অন্যদিকে বিকেল থেকেই দিল্লির বিভিন্ন অংশে পরিস্থিতি গম্ভীর হতে শুরু করে। পুলিশের দাবি, জায়গায় জায়গায় পুলিশের দিকে পাথর ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে মধ্যরাতে দরিয়াগঞ্জে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে। রাস্তায় পড়ে থাকা বাইক ভাঙচুর করে। ৪০ জনকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু আটকদের সঙ্গে আইনজীবীদেরও দেখা করতে দিচ্ছিল না বলে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। শনিবার ভোর রাতে পুলিশ জামা মসজিদের সামনে থেকে চন্দ্রশেখর আজাদকে গ্রেপ্তার করে। যাওয়ার আগে আজাদ তাঁর অনুগামীদের বলেন, ‘আমি গ্রেপ্তার হওয়ার পরেও আপনারা সকলে মিলে একসঙ্গে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন’।