রাজ্যের জন্য এনপিআর নিয়ে কেন্দ্রের পাঠানো প্রশ্নাবলী নিয়ে বৈঠকে বসবে মহারাষ্ট্রের তিন দলীয় সরকার মহা বিকাশ আগাড়ি। তারপরই স্থির হবে পরবর্তী কর্মসূচি। আজ একথা সাফ জানালেন মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রী তথা শীর্ষ এনসিপি নেতা নবাব মালিক। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ওটা পরীক্ষানিরীক্ষা করব, তারপর একটা সিদ্ধান্তে আসব। অন্য অ–বিজেপি রাজ্যগুলি কী পরিকল্পনা করছে সেসবও দেখব। তারপরই শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস একসঙ্গে বসে, রাজ্যে এনপিআর সংক্রান্ত সব কিছু চূড়ান্ত করবে।’ মহারাষ্ট্রে এনআরসি হবে না বলে রাজ্যবাসী এবং শরিকদের আশ্বস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে বলেও এদিন দাবি করেছেন মালিক। ‘তবে এনপিআর বাধ্যতামূলক। ২০০৮ সালে এনপিআর প্রশ্নাবলী তৈরি হয়েছিল এবং কেন্দ্র কিছু অতিরিক্ত প্রশ্নাবলী জুড়েছে খসড়ায়,’ বলছেন তিনি। মালিক একথা বললেও শুক্রবারই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন উদ্ধব ঠাকরে। সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর নিয়ে তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পর আশ্বস্ত করে বলেন, তাঁর রাজ্যে সিএএ এবং এনপিআর নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। পরে সাংবাদিকদের কাছেও উদ্ধব বলেন, ‘মহারাষ্ট্রের বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার ভালোমতন আলোচনা হয়েছে। ওনার সঙ্গে সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর নিয়েও আলোচনা করেছি। সিএএ-কে কারও ভয় পাওয়ার দরকার নেই। এনপিআর কাউকে দেশ থেকে বের করে দেবে না।’ নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের আগেই সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও টেলিফোনে একপ্রস্থ আলোচনা সারেন উদ্ধব। রাজ্যে সিএএ, এনপিআর বলবৎ নিয়ে উদ্ধবের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত মল্লিকার্জুন খারগে বলেছেন, এধরনের সিদ্ধান্ত কেউ একা নিতে পারেন না। আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত হবে। সিএএ-এনপিআর নিয়ে উদ্ধবের মন্তব্যে মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্বের আবহের ইঙ্গিত মিললেও কোনও পক্ষই এর সত্যতা স্বীকার করেনি। তবে কি শেষ পর্যন্ত কি তবে শিব সেনার মান ভাঙাতে পারল আরএসএস। এখন এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মনে।