কলকাতা

মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগে ৮ পুলিশকর্মীকে ক্লোজ করল রাজ্য

কলকাতাঃ লকডাউনের সময় জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় বেরলেও পুলিশের হাতে হেনস্থার একগুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়েছে রাজ্য সরকারের হাতে। যেমন হাওড়ার সাঁকরাইলের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, সন্তানের জন্য দুধ কিনতে গিয়েও পুলিশের হাতে নিগৃহীত হতে হয়েছে। পোস্তা এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ীও বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ করেছিলেন অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ে যাওয়ার সময়ও পোস্তা থানার পুলিশের হাতে হেনস্থা হতে হয়েছে। সেব্যাপারে তৎক্ষণাৎ উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার সেব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করল রাজ্য। এদিন নবান্নে পুলিশ এবং প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। লকডাউনের সময় রাজ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রায় ১২টি অভিযোগ জমা পড়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, ‘‌পুলিশকে মানবিক হতে হবে। যাঁরা বাজারে যাচ্ছেন, বা ওষুধ কিনতে যাচ্ছেন বা প্রয়োজনীয় কাজে নিযুক্ত এমন মানুষকে ছেড়ে দিতে হবে। ক্ষমতার অপব্যবহার করা চলবে না।’‌ মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে কমপক্ষে আটজন পুলিশকে ক্লোজ করা হয়েছে বলে এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।‌‌ একইসঙ্গে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় যেন কেউ এই মারণ ভাইরাস নিয়ে অযথা গুজব না ছড়ায় সেব্যাপারেও রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু এবং আইসিএমআর–এর নির্দেশিকা মেনেই বাংলায় করোনাভাইরাসের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।  দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি এবার উত্তরবঙ্গেও করোনা  পরীক্ষার পরিকাঠামো তৈরির পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে করোনা ভাইরাস নির্ণয়ের পরীক্ষাগার তৈরি করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। নবান্নে আজ তিনি সাংবাদিকদের জানান ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দপ্তর উত্তরবঙ্গে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের টিম পাঠানো শুরু করেছে। আজ থেকেই সেখানে সম্ভাব্য করোনা আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। রাজ্যবাসীর কাছেও আবেদন রেখেছেন সুরক্ষা বলয়ে থেকে এই মারাত্মক ভাইরাসকে হারিয়ে দিন। তিনি তাই নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট মেনে চলতেও অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিকে নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে। নিজের ইমিউনিটি পাওয়ারকে বাড়িয়ে তুলতে হবে। সে জন্য পাতিলসেবুর রস খেতে হবে। আর খেতে হবে নিমপাতা ও টকদই। মমতা বলেন, আমি প্রত্যেকদিন চারটে করে কাঁচা নিমপাতা খাই। আপনারাও খান।