কলকাতা

বাংলার ‘ঝুঁকিপ্রবণ’ এলাকায় দ্রুত করোনা পরীক্ষার নির্দেশ রাজ্য সরকারের

ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা স্যানিটাইজ করা ও এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নেওয়ারও উপরও গুরুত্ব আরোপ

কলকাতাঃ বাংলায় বাড়ছে করোনার দাপট। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে বর্তমানে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ১১০ জন। মৃত ৭। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৬জন। তবে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে এ রাজ্যে করোনা পজেটিভ ১৯০ জন। এর মধ্যে ৩৬জন সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। করোনার রুখতে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গাকে সংক্রমণের জন্য় ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজ্য় প্রশাসন। সেইসব এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে কিনা দেখতে ব্যাপকহারে নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। এছাড়াও যেসব অঞ্চল থেকে করোনা আক্রান্তদের খবর মিলছে সেই সব এলাকা স্যানিটাইজ করা ও এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নেওয়ারও উপরও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে ২৪টা ঘন্টা নবান্নের ৩০৩ নম্বর ঘরে রাজ্যের পরিস্থিতি সামলাছেন প্রায় ৩৫জন অফিসার। কখনোও ওষুধ, কখনো রেশন তো কখনোও আবার খাবার চেয়ে আসছে ফোন। কন্ট্রোল রুম চালু হওয়ার পর থেকে ২০ হাজার ছুঁতে চলেছে ফোন আসার সংখ্যাটা। ২৭ মার্চ থেকে নবান্নের এই ৩০৩ নম্বর ঘর বিশ্রাম নেয়নি এক টুকুও। হেল্প ডেক্স নম্বর ১০৭০, ০৩৩২২১৪৩৫২৬। দিনে প্রায় প্রায় আড়াই হাজারের বেশি ফোন আসছে রাজ্যের ভিন্ন প্রান্ত থেকে। সমস্যার সমাধান আধিকারিকরা নির্দিষ্ট জেলাশাসকদের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছেন ওই অভিযোগ। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলাজনিত কোনও অভিযোগ এলে তা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে পুলিশের কাছে। তিনটি শিফটে ৯ জন আইএএস অফিসার দায়িত্বে রয়েছেন। কন্ট্রোল রুমে ফোন করে মানুষ যাতে এর সুরাহা পান, তার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধুই ওই কন্ট্রোল রুম নয়। নবান্নে ডিজি কন্ট্রিল রুম, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কন্ট্রোল রুম এবং মুখ্য সচিব এবাং মুখ্যমন্ত্রী সচিবালয়ের অফিসাররা প্রতিটা মুহূর্তে সজাগ রয়েছেন।