সারা রাতের বৃষ্টি কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে। ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টিপাতের দাপটে স্বস্তি পেল নগরবাসী। মঙ্গলবার এবং বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে গোটা রাজ্যেই। এই মর্মেই সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। কয়েকদিন ধরেই পারদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছিল আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। তবে সারা রাতের বৃষ্টিতে শহর ভিজল, মিলল স্বস্তি। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, যদি ৬০ থেকে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়, তা হলে সেটাকে ভারী বৃষ্টি বলা হয়। মূলত বর্ষাকালেই ভারী বৃষ্টি হয়। সেক্ষেত্রে এপ্রিলের ভরা গরমের সময় এভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস কিছুটা বিরল ঘটনা। জেলায় জেলায় রোজই নিয়ম করে ঝড়বৃষ্টি হলেও শহরে কালবৈশাখী এসেছিল শনিবারই। তাতে খানিকটা স্বস্তি মিলেছিল শহরবাসীর। তারপর আবার পারদ চড়তে শুরু করেছিল। যা অস্বস্তি তৈরি করেছিল। মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার মূলত গোটা উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের নদিয়া, মুর্শিদাবাদ আর বীরভূমে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। গোটা রাজ্য জুড়েই তীব্র কালবৈশাখীর সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। এদিন রাজ্যের দুই এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। প্রবল গরমের ফলে মধ্যপ্রদেশ আর ঝাড়খণ্ডের ছোটনাগপুর অঞ্চলে দু’টো ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। অপর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে অসমে। বঙ্গোপসাগরে রয়েছে একটি উচ্চচাপ বলয়। উচ্চচাপ বলয়টির সৌজন্যে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ইতিমধ্যেই ঢুকতে শুরু করেছে দক্ষিণবঙ্গের বায়ুমণ্ডলে। আর তার থেকে ঝাড়খণ্ডের আর অসমের ঘূর্ণাবর্তগুলির মধ্যে তৈরি হয়েছে একটি অক্ষরেখা। এর জেরে গোটা রাজ্যে পরিস্থিতি ঝড়বৃষ্টির অনুকূল হয়ে উঠে।