৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে লকডাউন। এর মধ্যে ২০ এপ্রিল থেকে কিছুক্ষেত্রে লকডাউনে ছাড় দেওয়া হলেও অধিকাংশ রাজ্যই তা কার্যকর করতে পারেনি। কারণ করোনা সংক্রমণ হঠাত্ করে বেড়ে গিয়েছিল। তারপরে আবার পরিস্থিতি বিবেচনা করে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আরও কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। তারমধ্যে রয়েছে বইখাতা, ইলেকট্রিক ফ্যানের দোকান। বনজ সম্পদ, কৃষিজ পণ্যের দোকান। শহরাঞ্চলের নিকটবর্তী পাউরুটি এবং ময়দা এবং ডালের মিল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দুগ্ধজাত পণ্য উত্পাদন কেন্দ্রগুলি খোলারও অনুমতি দিয়েছে সরকার। এছাড়াও মোবাইল ফোনের রিচার্জ, প্রবীণ নাগরিকদের পরিষেবা দানকারী আয়াদেরও কাজে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জলপথে বাণিজ্যিক আদান প্রদানের কারণে জাহাজ চলাচল করতে পারবে এবং দেশের ভেতরেও জলপথে বাণিজ্যিক আদান প্রদান করা যাবে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে বাণিজ্যেক কারণে জলপথে সফরের জন্য প্রতিনিয়ত নাবিক এবং জাহাজের কর্মীদের নিজেদের স্বাস্থ্যের তথ্য দিতে হবে। এবং বন্দরে জাহাজ বা ভেসেল পৌঁছলেই তাঁদের সকলকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। তবে ভূখণ্ডে প্রবেশের অনুমতি পাবেন তাঁরা। যে বিষয়গুলির উপর নতুন করে ছাড় দেওয়া সেগুলি দেখে নিন এক নজরে –
🔴 গরম পড়ায় ফ্যানের দোকানকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
🔴 পড়ুয়াদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য পাঠ্যবইকে ছাড়ের আওতায় নেওয়া হয়েছে।
🔴 বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষের বড়িতে যাঁরা আয়ার কাজ করেন, তাঁদের ছাড় দেওয়া হয়েছে।
🔴 মোবাইল রিচার্জ ও প্রিপেড সেন্টারকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
🔴 চাল ও ডাল উত্পাদনের মিল ও বেকারিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
🔴 মৌমাছি, উদ্যানপালন ও কৃষির জন্য ব্যবহৃত গুদামকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
🔴 কৃষি ও উদ্যানপালনের সঙ্গে যুক্ত গবেষণাকেন্দ্রগুলিকে ছাড়ের আওতায় রাখা হয়েছে।
🔴 জলপথে বাণিজ্যিক আদান প্রদানের কারণে জাহাজ চলাচল করতে পারবে