করোনা ভাইরাসের জেড়ে দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, জিএসটি সংগ্রহে এই আর্থিক বর্ষে ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকার ঘাটতি দেখা যাবে। যা এককথায় অভূতপূর্ব। জিএসটি-র নীতি নির্ধারক কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন নির্মলা সীতারমণ। তিনি বলেন, ‘এই মহামারী ভগবানের কর্ম।’ আর সেই কারণেই এই বছর সরকার আরও বেশি করে সংকটের মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন তিনি। ভগবানের কর্মেই অর্থনীতি সংকটে পড়েছে, সংকুচিত হয়েছে। এ দিন জিএসটি কাউন্সিলের ৪১ তম বৈঠকে নির্মলা বলেন, ”এ বছর আমরা অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মুখোমুখি। ভগবানের এমন কোপে পড়েছি যে আমরা মন্দাও দেখতে পারি।” কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার এবং লকডাউনের জেরে ২০২০-২১ আর্থিক বছরে রাজ্যগুলির জিএসটি আদায়ে ঘাটতি পৌঁছতে পারে ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকায়।ইতিমধ্যেই আর্থিক টানাটানির মধ্যে পড়েছে রাজ্যগুলি। যেমন পঞ্জাব জানিয়েছে, তাদের ২৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে। ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে লাগু হয় জিএসটি। ওই আইন মোতাবেক, ৫ বছরের জন্য রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের। এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই জিএসটি ঘাটতি মেটানোর জন্য লাগাতার কেন্দ্রের উপর লাগাতার চাপ বাড়াচ্ছিল রাজ্যগুলি।