বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে তুফানগঞ্জে আদি ও নব্য বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বেশকয়েক জন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সাধন বর্মন ও রাহিমুদ্দিন আলি তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়াও পিনাকী রায় নামে আরেকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। চিলাখানা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওচরাই মোড় এলাকার ঘটনা। সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ শনিবার বেলা আড়াইটা নাগাদ ঘটনাস্থলে যায়। যুব মোর্চার কোচবিহার জেলা সম্পাদক রাজীব সরকার বলেন, রাহিমুদ্দিন আলি, দিলীপ বর্মন সহ নব্য বিজেপি কর্মীরা এলাকায় পুরানো বিজেপি কর্মীদের নানা ভাবে হেনস্তা করছিল। এদিন জেলা নেতৃত্বের কথা না শুনে তাঁরা মিটিং করে এসে আমার বাড়ির পাশে বিজেপির এক পুরোনো কর্মীর ওপর চড়াও হন। তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। বিজেপির ২৮ নম্বর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক অনুপম বর্মন বলেন, আমরা মিটিং করে যখন ফিরছিলাম, তখন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ করে। বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, একজন বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা তৃণমূলের প্ররোচনায় বিজেপিকে বদনাম করতে কিছু যুব নেতাদের ভুল পথে চালিত করে এসব করছেন। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা মুখপাত্র শিবপদ পাল বলেন, ওটা ওদের নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল সবে শুরু হয়েছে, এখনও বহু ঘটনা বাকি রয়েছে।