গতকালের জিইই পরীক্ষায় রাজ্যের নথিভুক্ত পরীক্ষার্থীর মাত্র ২৫ শতাংশ পরীক্ষা দিয়েছেন। আজ নবান্নে জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি দাবি তুলেছেন, যাঁরা পরীক্ষা দিতে পারলেন না, সেই ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে দেখুক কেন্দ্র। সোমবার থেকে গোটা দেশেই জেইই পরীক্ষা শুরু হয়েছে। যা আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলার কথা। করোনা অতিমারির মধ্যে এই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছিল বিরোধীরা। যদিও সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে নির্ধারিত দিনেই পরীক্ষা হবে বলে জানিয়ে দেয় ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, রাজ্যে জেইই পরীক্ষার জন্য যত ছাত্রছাত্রী নাম নথিভুক্ত করেছিলেন, সোমবারের পরীক্ষায় তার মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশ পরীক্ষা দিতে উপস্থিত হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেভাবে বলা হয়েছিল, সেভাবেই আমরা সবরকম ব্যবস্থা করেছি। এত জেদ, অহং ভাব কেন? ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যত্ নষ্ট করার অধিকার কে দিল? কেরিয়ার তৈরি করতে গিয়ে যদি জীবনটাই চলে যায়, আমরা কী ভুল বলেছিলাম? যাঁরা পরীক্ষা দিতে পারলেন না, তাঁদের জন্য আমার খুব দুঃখ হচ্ছে।’ মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, শুধুমাত্র এ রাজ্য থেকেই ৭৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী যেখানে পরীক্ষা দিতে পারেননি, সেখানে অন্যান্য রাজ্যেও পরীক্ষার্থীরা একই সমস্যায় পড়েছেন। যাঁরা পরীক্ষা দিতে পারেননি, তাঁদের কথা যাতে কেন্দ্র পুনর্বিবেচনা করে, সেই দাবিও তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই কেন্দ্রকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এত জেদ, এত অহং কেন? পরীক্ষীর্থীরা তো বলেনি পরীক্ষা বাতিল করতে। তাঁরা আবেদন করেছিল পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার। কারণ, বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো যেমন সমস্যার। তেমনই থেকে যাচ্ছে সংক্রমণের ঝুঁকিও। কিন্তু কেন্দ্র তা মানল না।’ এরপরই প্রশ্নের সুরে প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কে আপনাকে অধিকার দিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের বিপাকে ফেলার, ওদের ভবিষ্যত নষ্ট করার?’