এগারো বছর পর ফের চালু হতে চলেছে কলকাতা-লন্ডন বিমান পরিষেবা । বাংলা ফিরে পেতে চলেছে তাঁর হারানো সম্মাণ। আর এই হৃত সম্মাণ পুনরুদ্ধারের কৃতিত্ব কিন্তু সেই বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিশ্বশিল্প ও বাণিজ্যের মানচিত্রে যার হাত ধরে আবারও জায়গা করে নিচ্ছে এই বাংলা। একটা সময় ছিল যখন কলকাতা থেকে বিমানে চড়ে সোজা পৌঁছে যাওয়া যেত লন্ডনে। কিন্তু বাম জমানার শেষ দিকে যাত্রীর অভাবে লোকসানের মুখ দেখে সেই পরিষেবা বন্ধ করে দেয় ঐতিহ্যশালী আন্তর্জাতিক বিমানসংস্থা ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। পরবর্তী সমইয়ে বেশ কিছু দেশীয় ও বিদেশী বিমানসংস্থাকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল কলকাতা ও লন্ডনের মধ্যে বিমান পরিষেবা চালু করতে। কোভিড পরিস্থিতিতেই মধ্যেই সেই ডাকে সাড়া দিল ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। আন্তর্জাতিক স্তরে এই স্বাভাবিক বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকাকালীন সময়ের জন্য বিশেষ বিমান পরিষেবা চালুর জন্য অনেক সময় কিছু বিমান সংস্থা আগ্রহ দেখায়। তখন দেখা হয় যে ওই বিমানসংস্থাটি যে দেশে এই বিশেষ পরিষেবা চালাতে চাইছে সেই দেশের অন্য কোনও বিমান সংস্থা অনুরূপ পরিষেবা ওই রুটেই দিতে চাইছে কিনা। যদি সেই শর্ত মেলে তাহলে দুটি দেশ থেকে ওই দুই বিমান সংস্থাকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিশেষ বিমান পরিষেবা চালাতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এই পরিষেবাকেই বলা হয় এয়ার বাব্বল। সেই এয়ার বাব্বলের জন্যই লন্ডন ও কলকাতার মধ্যে বিমান পরিষেবা চালাতে আগ্রহ দেখায় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। সেই আগ্রহ দেখা ভারত সরকারও রাজি হয় বন্দে ভারত মিশনে এই রুটে বিমান চালাতে। তার জেরেই ১১ বছর বাদে আবারও সরাসরি বিমানযোগে জুড়তে চলেছে গঙ্গা পাড়ের কলকাতা ও টেমস পাড়ের লন্ডন। আপাতত ঠিক হয়েছে প্রতি সপ্তাহে বুধবার ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমান লন্ডন থেকে কলকাতার বিমান চালাবে। কলকাতা থেকে সেই পরিষেবা মিলবে প্রতি বৃহস্পতিবার। আবার এয়ার ইন্ডিয়া লন্ডন থেকে কলকাতার পথে বিমান ওড়াবে প্রতি শনিবার। ফিরতে পথে তাঁরা কলকাতা থেকে লন্ডনের বিমান ওড়াবে প্রতি রবিবার। অর্থাত্ কলকাতা থেকে প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার মিলবে লন্ডনের বিমান ও লন্ডন থেকে প্রতি বুধ ও শনিবার মিলবে কলকাতার উড়ান। তবে এই পরিষেবা কিন্তু অস্থায়ী। আন্তর্জাতিক স্তরে কোভিডের ছায়া কেটে গেলে বিমান পরিষেবা আবার আগের মতো হয়ে গেলে এই পরিষেবা কিন্তু বন্ধ করে দেওয়া হবে। অস্থায়ী হলেও অনেকেই কিন্তু এই পরিষেবা ঘিরে আশার আলো দেখার পাশাপাশি বাংলার শিল্প ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সাফল্যের আস্তে পারে বলে মনে করছেন।