করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করার উঠেপড়ে লেগেছে বিশ্বের অনেক দেশ। ইতিমধ্যেই ট্রায়ালে বেশ খানিকটা এগিয়েও গিয়েছে কিছু দেশ। রাশিয়া তো দাবি করেছে, প্রথম পর্যায়ের ভ্যাকসিন তৈরি তাদের। যদিও এর মধ্যেই মানবদেহে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল বন্ধ করল ব্রিটেনের ফার্ম অ্যাস্ট্রাজেনেকা। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মিলে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালাচ্ছিল তারা। জানা গিয়েছে, এই ভ্যাকসিন যেসব ভলান্টিয়ারদের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে অনেকেই হঠাৎ করেই গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। গতকাল রাতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার
তরফে এই ট্রায়াল বন্ধ করার কথা জানানো হয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে সমান তালে ভ্যাকসিন তৈরি করার দৌড়ে ছিল এই ফার্মা কোম্পানি। অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোম্পানির মুখপাত্র জানিয়েছেন,“এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। কিন্তু সুরক্ষা নিয়ে কিছু প্রশ্ন ওঠায় আমরা নিজেদের ট্রায়াল আপাতত বন্ধ রাখছি। একটি নিরপেক্ষ দল আগে এই ভ্যাকসিন কতটা সুরক্ষিত, তা পরীক্ষা করে দেখবে। তারপরেই এর ট্রায়াল ফের শুরু হবে।” কোম্পানির মুখপাত্র আরও জানিয়েছেন, “যদি কোনও ভ্যাকসিনের ট্রায়াল করার সময় কোনও ভলান্টিয়ারের শরীরে তার বিরূপ প্রভাব দেখা যায় তাহলে এই পদ্ধতিই মেনে চলতে হয়। আগে কমিটি এই ভ্যাকসিনের সুরক্ষা খতিয়ে দেখবে। তারপরে ফের তার ট্রায়াল শুরু হবে।” ওই স্বেচ্ছাসেবকের পরিচয় সামনে আনা না হলেও, সূত্রের খবর ট্রান্সভার্স মাইলাইটিসে ভুগছেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ওই প্রতিষেধক নেওয়ার ফলে ওই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ট্রান্সভার্স মাইলাইটিস মূলত মেরুদণ্ডে প্রদাহজনিত ব্যাধি। এর ফলে মেরুদণ্ড ফুলে যায়। যেটা ধীরে ধীরে পেশীর পাশাপাশি আক্রান্তকেও শারীরিকভাবে অত্যধিক দুর্বল করে দেয়। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্ত প্যারালাইসিস পর্যন্ত হতে পারে। তবে ওই স্বেচ্ছাসেবক আদতেও এই ব্যাধিতে ভুগছেন কী না তা নিশ্চিত করতে ওই ব্যক্তির রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখতে চায় আমেরিকার ন্যাশনাল ইন্সস্টিউট অব হেলথ।