টেলিভিশন নয়, সবার প্রথমে মাত্রা বেঁধে দেওয়া উচিত ডিজিটাল মিডিয়ার। কারণ ডিজিটাল মিডিয়ার প্রভাব আজকের জমানায় অনেক বেশি। সুপ্রিম কোর্ট-এ এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি সুদর্শন টিভির একটি অনুষ্ঠানের ২টি পর্ব বন্ধ করে কেন্দ্রীয় সরকারকে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানায়, এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত বলে মুসলিম সমাজের মর্যাদাহানি হবে। এদিন সেই মামলারই শুনানি। এই শুনানির আগে একটি বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্র বলছে, আদালতের উচিত আগে ডিজিটাল মিডিয়ায় গতিবিধিতে নজরদারি চালানো। কারণ তার পরিধি গত কয়েক বছরে অনেক বড় হয়েছে। “ডিজিটাল মিডিয়া ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপোর দৌলতে অনেক দূর ছড়িয়েছে। সহজেই ভাইরাল হচ্ছে ডিজিটাল কন্টেন্ট। তাই আদালতের উচিত সেই বিষয়ে আলাদা করে নজর দেওয়া,” লেখা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। সরকারি প্রতিনিধি আরও বলছেন, একই সঙ্গে বাক্ স্বাধীনতা এবং ভারসাম্য রক্ষাকারী সাংবাদিকতা বজায় রাখার জন্য ইতিমধ্যেই নিয়ামক সংস্থাগুলি সচেষ্ট। সরকার পক্ষের আরও দাবি, কী দেখানো যাবে কী দেখানো যাবে না গাইডলাইন স্থির করার জনয় একটি প্যানেল তৈরি করে দিক সুপ্রিম কোর্টই। ১৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ওই টেলিভিশন চ্যানেলের আইনজীবী জানান অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হচ্ছে সমস্ত বিধি মেনে।তাতে অবশ্য বরফ গলেনি। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি ইন্দু মলহোত্রা এবং বিচারপতি কে এম জোসেফের বেঞ্চ জানায় প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে যা দেখানো হচ্ছে তা মুসলিম সমাজের প্রতি অবমাননাকর। একই সঙ্গে পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক নিয়ে একটি কমিটি গড়ার প্রস্তাব দেয় আদালত। এই কমিটির কাজ হবে বৈদ্যুতিন মাধ্যমের জন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করা।