সংসদে লকডাউন নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। কংগ্রেস, ডিএমকে থেকে একাধিক দলের সাংসদরা সরাসরি অভিযোগ করলেন, অপরিকল্পিত লকডাউনের জন্যই দেশে আজকে কোভিড পরিস্থিতি ভয়াবহ। তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর সংসদে বলেন, ‘লকডাউন করার আগে দেশের সরকার কোনও পরামর্শই নেয়নি বিরোধীদের থেকে। এক তরফা লকডাউন ঘোষণা করে দিয়েছিল। মহামারীকে নিজেদের প্রচারের হাতিয়ার বানানোর চেষ্টা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফল ভুগতে হচ্ছে গোটা দেশকে।’ শশী যখন এই অভিযো তুলছেন তখন ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে উঠে প্রতিবাদ জানান বিজেপি সাংসদ কীর্তি সোলাঙ্কি। তিনি বলেন, ‘কোভিড যুদ্ধে একা নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।’ যদিও কীর্তিকে থামিয়ে দেন স্পিকার। এর পর শশী আরও বলেন, ‘যখন দেশে ৫৬৪ জন আক্রান্ত, তখন লকডাউন হল। আর যখন আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে তখন সব খুলে দেওয়া হয়েছে। মহামারী নিয়ে মস্করা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত একমাত্র দেশ, না পেরেছে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে, না পেরেছে অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে। জিডিপির রেখাচিত্র দেখলেই বোঝা যাচ্ছে কী অবস্থা অর্থনীতির।’ ডিএমকের দয়ানিধি মারান বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফর এবং মধ্যপ্রদেশের সরকার ফেলার জন্যই অত দেরি করে লকডাউন করেছিল কেন্দ্র। যখন প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ল, তখন যদি আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ করত ভারত সরকার তাহলে ১৩০ কোটি মানুষকে আজকে এই বিপদের মুখে পড়তে হতো না। থালা বাজানো, বাতি জ্বালানোর কথা তুলেও মোদীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান মারান। প্রসঙ্গত, পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু, কোটি কোটি মানুষের কাজ হারানো, সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রায় সব নিয়েই বিরোধীদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার গোটা বিষয়টাকে সস্তার হাততালি পাওয়ার চেষ্টা করেছে। কিছু গাল ভরা বক্তৃতায় পলিটিক্যাল স্টান্ট দেখানোর চেষ্টা করেছে। বিজেপি-র যদিও বক্তব্য, ইউরোপের অনেক উন্নত দেশের তুলনায় ভারতের অবস্থা অনেক ভাল।