করোনা প্রতিষেধক ন্যাজাল ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরু করে দিল পুনের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট। ওষুধ নির্মাতা সংস্থা সিরামের কারখানায় মার্কিন বায়োটেক সংস্থা কোডাজেনিক্সের তৈরি ন্যাজাল ভ্যাকসিন সিডিএক্স-০০৫-এর উৎপাদন হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। কোডাজেনিক্স জানিয়েছে, এবছরের শেষে ব্রিটেনেও ওই ভ্যাকসিনের মানব পরীক্ষা শুরু হবে। আরও বেশ কয়েকটি করোনা টিকা উৎপাদনের দায়িত্ব নিয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট। এর মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথ উদ্যোগে আবিষ্কৃত টিকাও রয়েছে। একই ভাবে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে কোভিড প্রতিরোধী ন্যাজাল ভ্যাকসিন উৎপাদন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে হায়দরাবাদের ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা ভারত বায়োটেক। তাদের তৈরি ন্যাজাল কোরো-ফ্লু ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষার ফল ইতিবাচক বলে দাবি করা হয়েছে। মার্কিন ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে ভ্যাকসিনের ১০০ কোটি ডোজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে দেশের প্রথম সারির এই ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থার। সূত্রের খবর, সেন্ট লুই ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ভ্যাকসিন অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট ইভ্যালুয়েশন ইউনিটে এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলছিল। ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই হায়দরাবাদের কারখানায় এই ভ্যাকসিনের বিপুল উৎপাদন শুরু হবে।এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আমেরিকার খাদ্য ও ওষুধ নিয়ামক সংস্থার নীতি অনুসরণ করে করোনা ভ্যাকসিন ট্রায়ালের নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। ওই নির্দেশিকায় তৃতীয় পর্বের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ কার্যকারিতা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রস্তুতকারী সংস্থাকে টিকা সম্পর্কিত শ্বাসকষ্টজনিত অসুখ বা এনহ্যান্সড রেসপিরেটরি ডিজিজ-এর (ইআরডি) সম্ভাবনা সম্পর্কে সবিস্তারে তথ্য দিতে হবে। গর্ভবতী ও সন্তান ধারণে সক্ষম মহিলাদের কথা মাথায় রেখেও টিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাগুলিকে। ট্রায়াল চলাকালীন স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে গর্ভসঞ্চার হলে অথবা আগে থাকতেই সন্তান ধারণ করে থাকলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার বিষয়ে সংস্থাগুলিকে সতর্ক করেছে ডিসিজিআই।