বিতর্কিত তিনটি নতুন কৃষি বিলের প্রতিবাদে আন্দোলন আরও জোরালো করতে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত “রেল রোকো” আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী করার সিদ্ধান্ত পঞ্জাবের কৃষকদের৷ “কৃষকদের বিভ্রান্ত করছে বিরোধীরা৷” কেন্দ্রের সেই দাবিও নস্যাৎ করেছেন তাঁরা ৷ তাঁরা জানিয়েছে, “বিরোধীরা আমাদের বিভ্রান্ত করেনি ৷ আমরা বিলের মুদ্রিত কপি পড়েছি৷” কিষাণ মজদুর সংগ্রাম সমিতির রাজ্য সম্পাদক, সারওয়ান সিং পান্ধে ৷ যিনি সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়া “কৃষকবিরোধী” তিনটি বিল পঞ্জাবি ভাষায় অনুবাদ করেছেন এবং সেখানকার কৃষকদের মধ্যে বিরতণ করেছেন ৷ তিনি বলেন, ” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধীদের দোষারোপ করছেন ৷ তিনি বলছেন বিরোধীরা আমাদের (কৃষকদের) বিলের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করছে ৷ এটি সঠিক নয় ৷ আমরা অধ্যাদেশ (এখন বিল) পরেছি ৷”এই বিলের পেছনে পুঁজিবাদীদের হাত রয়েছে বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন ৷ তিনি বলেন, “কৃষি আইনে এই পরিবর্তনগুলি আনার জন্য দেশের পুঁজিবাদীরা প্রধানমন্ত্রীকে প্রেরণা দিয়েছেন ৷ কিন্তু আমরা এই বিলের কাছে মাথানত করবো না ৷” সারওয়ান সিং পান্ধে বলেন, ” আমাদের সঙ্গে সারা দেশের কৃষকদের সমর্থন রয়েছে ৷ এই আন্দোলন দেশের একটি বৃহৎ জনগনের আন্দোলন ৷ প্রধানমন্ত্রীকে “কৃষক বিরোধী” এই বিল প্রত্যাহার করতেই হবে ৷ কৃষক আইনে এই পরিবর্তনগুলি কার্যকরি করতে পারবেন না তিনি৷”একই সঙ্গে তিনি জানিয়েদেন বিল বিরোধী এই আন্দোলন কৃষকদের ৷ তাই কোনও রাজনৈতিক দলকে এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হতে দেওয়া হবে না ৷ পঞ্জাবে রেল লাইন উপর কৃষকদের তিনদিন ধরে ক্রমাগত “রেল রোকো” আন্দোলনের জেরে ইতিমধ্যেই কমকরে ২৮টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে ৷ কৃষি বিল ২০২০ প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার দেশজুড়ে আন্দোলনে সারা ভারত কিষাণ মজদুর সংগ্রাম সম্বন্বয় কমিটির ২৬৫ টির বেশি কৃষক সংগঠন যোগদান করে৷ পাশাপাশি যারা কিষাণ মজদুর সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সঙ্গে যুক্ত নয়, এমন ১০০টির কাছাকাছি কৃষক সংগঠন এই আন্দোলনে যোগদান করে ৷ দেশজুড়ে কোরোনা আবহের মধ্যেই জাতীয় সড়ক, রেল লাইন অবরোধ করে হাজার হাজার কৃষক ৷ এই আন্দোলন ভারত বনধের একটি অংশ মাত্র ৷ যতক্ষণ না পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সারা মিলবে ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে ৷ প্রয়োজনে প্রতিবাদে আন্দোলন আরও জোরালো করার হুশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা ৷