তবে কি ডেপুটি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ সত্যি? উঠছে সেই প্রশ্ন
কৃষি বিল নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। কেন্দ্রীয় সরকারের বয়ান ও রাজ্যসভা অধিবেশনের ভিডিও ফুটেজের মধ্যে থাকা অসঙ্গতিকে ঘিরে নতুন করে মাথাচাড়া দিল কৃষি বিল বিতর্ক। কেন্দ্রের দাবি ছিল, নিয়ম মেনেই ভোট হয়েছে । যদিও বিরোধীদের বক্তব্য ভিন্ন । সম্প্রতি রাজ্যসভা টিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম । সেক্ষেত্রে যে তথ্য সামনে আসছে , তার সঙ্গে সরকারের বয়ানে যথেষ্টই পার্থক্য রয়েছে । মূলত যে দু’টি বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে, ভোটের জন্য অধিবেশনের সময়সীমা বাড়ানো । দ্বিতীয়ত, ডিভিশন ভোটের দাবির সময় বিরোধীরা আসনেই ছিলেন। ২০ সেপ্টেম্বর রাজ্যসভায় ধ্বনিভোটে পাশ হয় কৃষি বিল । বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রের বিলের সমর্থনে যথেষ্ট সংখ্যা ছিল না । সেই কারণেই ধ্বনিভোটে কৃষি বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । ধ্বনিভোটের বদলে ফিজিকাল ভোট হলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যেত । রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ সিং সরকারের সঙ্গে মিলে ধ্বনিভোটে বিল পাশ করিয়েছেন বলেও অভিযোগ করে বিরোধীরা । যদিও কেন্দ্র এবং হরিবংশ সিং বারবার দাবি করেছেন, নিয়ম মেনেই ভোট হয়েছে । ফিজি কাল ভোটে দাবি করার সময় বিরোধীরা নিজস্ব আসনে ছিলেন না । কৃষি বিল সেইদিন রাজ্যসভায় পেশ হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিরোধীরা । তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন সহ মোট আটজন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয় । অভিযোগ ছিল, তাঁরা সংসদের নিয়ম ভেঙেছেন । বিক্ষোভ দেখিয়েছেন । কিন্তু নিজেদের দাবি থেকে সরেননি বিরোধীরা । তাঁদের অভিযোগ ছিল, অগণতান্ত্রিকভাবে বিল পাশ করিয়ে নেওয়া হয়েছে । রাজ্যসভা টিভির ব্রডকাস্টিং কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করা হয় । যাতে দেশ এই অন্যায় দেখতে না পায়, অভিযোগ করেছিলেন ডেরেক । বিক্ষোভ শুরু হয় দুপুর 1টা নাগাদ । বিরোধীরা অভিযোগ করেন, শুধুমাত্র বিল পাশ করানোর জন্য অধিবেশনের সময়সীমা বাড়ানো হয় । কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব দেন । বিরোধীদের মতামত নেননি । এইদিকে রাজ্যসভা টিভির ফুটেজ অন্য কথা বলছে । তবে কি ডেপুটি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ সত্যি ? উঠছে সেই প্রশ্নই ।