কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে কার্যত গলাধাক্কা দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। কিন্তু তাতেও দমে যাননি কংগ্রেস নেতা তথা লোকসভার সাংসদ রাহুল গান্ধি। উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকারের উপর চাপ বজায় রাখতে শনিবার বিকেলে ফের হাথরাসে নির্যাতিতার বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে রাহুল গান্ধির নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল হাথরস যাচ্ছে। আজ দুপুরে হাথরাস যাওয়ার কথা তাদের । পরিবারের অভিযোগ শুনবে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলটি । ১৫ দিন লড়াইয়ের পর ২৯ সেপ্টেম্বর দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু হয় হাথরসের নির্যাতিতার । তাঁর জিভে গভীর ক্ষত ছিল । শিরদাঁড়া ভেঙে যাওয়ায় শ্বাস নিতে পারছিলেন না তিনি । পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানান চিকিৎসকরা । এদিকে তাঁর মৃতদেহ পুলিশ জোর করে পুড়িয়ে দেয় বলেও অভিযোগ । এরপরই এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয় জাতীয় রাজনীতি । ঘটনায় যোগী সরকারের ভূমিকা নিয়ে আঙুল তুলতে শুরু করেছে বিরোধী দলগুলি । বৃহস্পতিবার সকালে হাথরাসের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশে রওনা দেন রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা । কিন্তু হাথরাস ঢোকার আগে একাধিকবার তাঁদের আটকানো হয় । এরপর হেঁটে হাথরসে যেতে গেলে ফের বাধা দেয় পুলিশ । চলে বচসা । ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান রাহুল গান্ধি । পরে তাঁদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ । রাতে গৌতম বুদ্ধ নগরের ইকোটেক ওয়ান পুলিশ স্টেশনে রাহুল গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় । সেখানে তাঁদের সঙ্গে থাকা ১৫০ জন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরও নাম রয়েছে । এরই মধ্যে আজ ফের হাথরস যাচ্ছেন তিনি । এদিকে কংগ্রেসের পর হাথরসে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে আটকায় পুলিশ । নির্যাতিতার বাড়ি থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে তাদের আটকে দেওয়া হয় । পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে পড়ে যান তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন । এরই প্রতিবাদে আজ শহরে মিছিল করে প্রতিবাদ জানাবেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।