কলকাতা

তৃণমূলে ফিরতে চেয়েছিলেন মণীশ, তাই খুন হতে হল, অর্জুনের দিকেই অভিযোগ তির ফিরহাদের

মণীশ শুক্লার মৃত্যু নিয়ে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব সামনে আনলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সোমবার তিনি বলেন, ‘যে কোনও মৃত্যুই দুঃখের। আমার সঙ্গে ওঁর ভাল সম্পর্ক ছিল। ব্যারাকপুরে যখন মিটিং করতে গেছিলাম সেই সময় দীনেশদার হয়ে যাবতীয় প্রচার কর্মসূচি মণীশই করেছিল। কিন্তু ভোটের আগে অর্জুন ওকে চাপ দিয়ে বিজেপিতে যেতে বাধ্য করে।’ একইসঙ্গে অর্জুনের দিকে তোপ দেগে ফিরহাদ বলেন, ‘যে অস্ত্র দিয়ে ওঁকে মারা হয়েছে সে অস্ত্র পশ্চিমবঙ্গের ক্রিমিনালদের ব্যবহার করতে আমরা আগে দেখিনি। তবে কি বাইরে থেকে লোক নিয়ে আসা হয়েছিল? ভোটের সময় অর্জুন অনেক বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসেছিল। তাদের মধ্যে শার্প শুটার ছিল বলেও শুনেছি। তাদের মধ্যে একজন আবার পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছে। এক্ষেত্রেও তারাই কি এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’ ফিরহাদের প্রশ্ন, ‘রাজ্যে কারা আমদানি করল এই দুষ্কৃতীদের? এই কালচার ব্যারাকপুরে অর্জুন সিং আমদানি করেছে।’ তিনি জানান, আমার কাছে খবর মণীশ বিজেপিতে অশান্তিতে ছিল। তৃণমূলের ফিরে যাবে বলে অনেককেই জানিয়েছিল। ফিলারও পাঠিয়েছিল অনেককে। এক গাড়িতে অর্জুন সিং এবং মণীশ ছিল বলেই শুনেছি। সেখান থেকে হঠাত্‍ অর্জুন নেমে গেল কেন। সেই সময়ই কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ফোন এল অর্জুনের কাছে আর অর্জুন কলকাতায় চলে এল। এর পিছনে কোনও চক্রান্ত নেই তো? তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপির অনেক ছোট নেতারা রয়েছেন কলকাতায় যাঁরা সেন্ট্রাল ফোর্স পায়। তবে পুলিশ খোঁজ করবে কারা খুন করেছে। এটা উত্তরপ্রদেশ নয় যে এনকাউন্টার করে মারা হবে। এটা বাংলা, এখানে বিচার হবে। ব্যারাকপুরে রাজনীতির অন্দরে অনেক ব্যাপার রয়েছে। অনেক নেতা বিজেপি থেকে তৃণমূলের ফিরতে চাইছে তাই কি এমন ঘটনা ঘটল।’ কেন মণীশ শুক্লার নিরাপত্তায় সিআরপিএফ দেওয়া হয়নি সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। পাশাপাশি, অর্জুন সিং এবং সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বাংলার পুলিশই যথেষ্ট, তা না করে কি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ দিয়ে তদন্ত করে দেখা হবে। আর সিবিআই তদন্ত, এতদিনে তো রবীন্দ্রনাথের নোবেলও ফিরে এল না। সিবিআই তো খাঁচায় বন্ধ থাকা তোতাপাখি। আমার রাজ্য পুলিশের ওপর ভরসা আছে। তারাই সঠিক কারণ খুঁজে বের করবেন।’