সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুকে কাজে লাগিয়েছে বিজেপি। বলছে একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষা। এই কাজে তাদের হাতিয়ার ছিল সোশ্যাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া। ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও মাইক্রোসফট রিসার্চ ইন্ডিয়ার প্রধান গবেষক জয়জিত্ পাল এই গবেষণাটি করেছেন। সমীক্ষা অনুযায়ী, ‘আত্মহত্যা’-কে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে সাজাতে সব রকম প্রয়াস করেছে বিজেপি। যেমন, (১) এই ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে সাজানোর পেছনে মুম্বই পুলিশের হাত রয়েছে। (২) বাঙালি মহিলারা (রিয়া) কালো জাদু করেন, এমন প্রচার। (৩) তদন্তকে এগোতে দিচ্ছেন না অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের পদত্যাগ দাবি। (৪) উদ্ধবপুত্র ও মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে প্রচার। (৫) সুশান্তের মৃত্যু বিষক্রিয়ায় হয়েছে বলে প্রচার। এখানেই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে সাম্প্রতিক এই সমীক্ষা। টুইটারের পোস্টকে ভিত্তি করে একটি গ্রাফ তৈরি করা হয়। যার দুটি ভাগ, এনসিপি ও বিজেপি। সমীক্ষা করা হয় তিন ধরনের পোস্টের ভিত্তিতে। আত্মহত্যা, রহস্যমৃত্যু এবং হত্যা। ১৪ জুন থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যত পোস্ট পড়েছে, তার ভিত্তিতে স্পষ্ট হয় যে বিজেপি কর্মীদের তরফে সব থেকে বেশি দাবি উঠেছে হত্যাকাণ্ডের। অন্যদিকে, শিবসেনা ও কংগ্রেস কর্মীরা ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলেই দাবি করেছেন। মঙ্গলবার মুম্বই পুলিশের তরফে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের আওতায় ৮০ হাজার ভুয়ো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে দু’টি এফআইআর করা হয়েছে। অভিযোগ, সেগুলিকে ব্যবহার করে তদন্তের রাস্তা ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। চ্যানেলের টিআরপি বাড়াতে কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম রিয়া ও তঁার পরিবারের সমস্ত ব্যক্তিগত ঘটনাকে তুলে আনা শুরু করে। এর জেরে একটি চ্যানেলের দর্শকসংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যায়। জয়জিত্ পালের মতে, ফোকাস চলে যায় বলিউডের মাদকযোগের দিকে। সুশান্তের জন্য গাঁজা কেনার জন্য এক মাসের হাজতবাস হয় রিয়ার।