উত্তর ২৪ পরগণাঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছিল দুজনের। তারপর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। একে অপরকে বিয়ে করবেন বলেও ঠিক করেন তাঁরা। কিন্তু বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিক একাধিকবার তাঁকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক তরুণী। এমনকি তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তুলে তাঁকে ব্ল্যাকমেলও করেন ওই যুবক, এমনটাই অভিযোগ করেছেন তিনি। অবশেষে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, বছর খানেক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ, ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি তুলে ব্ল্যাকমেল, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত থানা এলাকার ইতনার বাসিন্দা বছর চব্বিশের এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় কলকাতার নেতাজি নগর এলাকার বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের যুবক দীপঙ্কর দাসের। তারপর ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হয়। তরুণীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন দীপঙ্কর। তরুণী তা মেনেও নেন। দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ে। তাঁরা ঠিক করেন বিয়ে করবেন। তরুণী অভিযোগ করেছেন, দীপঙ্কর দেখা করার নাম করে কল্যাণী এলাকার একটি গেস্ট হাউসে ডাকতেন তাঁকে। তারপর জোর করে তাঁকে ধর্ষণ করতেন। কিন্তু বিয়ের কথা ভেবে মুখ খোলেননি তিনি। বেশ কয়েকবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন তরুণী। শুধু তাই নয়, তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি জোর করে নিজের ফোনে তুলে রাখেন দীপঙ্কর। পুলিশ সূত্রে খবর, কিছুদিন আগে তরুণীর তরফে বিয়ের কথা বলা হলে এড়িয়ে যাওয়া শুরু করেন দীপঙ্কর। এমনকি তরুণী বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাঁর গোপন ছবি ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেন তিনি। এই গোপন ছবির ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ করেছেন তিনি। অবশেষে অগস্ট মাসের ২৩ তারিখ হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। তারপর থেকেই দীপঙ্করকে খুঁজছিল হাবড়া থানার পুলিশ। গতকাল গোপন সূত্রে খবর আসে, নদীয়া জেলার কল্যাণীর একটি গেস্ট হাউসে লুকিয়ে রয়েছেন দীপঙ্কর। তারপরেই শনিবার রাতে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আজ বারাসাত আদালতে তোলা হলে দীপঙ্করকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। দীপঙ্করের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হমকি, ব্ল্যাকমেল, প্রতারণা প্রভৃতি একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
