সুশান্ত সিং রাজপুত রহস্যমৃত্যু মামলায় মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত তেমন জোরালো কোনও প্রমাণ পাওয়া গেল না। অভিনেতার অর্থ তছরূপ মামলার তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট সূত্রে সম্প্রতি জানা যায়, এখনও অবধি সুশান্তের নানা অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে কোনও সন্দেহজনক লেনদেনের হদিস পাওয়া যায়নি। তবে তত্ত্বতালাশ জারি রেখেছে ইডি। প্রয়াত অভিনেতা ও বলিউডের মাদকযোগে জড়িত সন্দেহে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হাতে ধৃত রিয়াকে কয়েক দিন আগে জামিন দেয় বম্বে হাইকোর্ট। তার পরই ইডি-র এই দাবি। অভিনেতার ১৫ কোটি টাকা নয়ছয় করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবারের তরফে যে অভিযোগ করা হয়, তার প্রেক্ষিতে ইডির যুক্তি, ‘বোধহয় কিছু ভুল-বোঝাবুঝি রয়েছে। আমাদের ধারণা, ওঁর পরিবার বোধহয় ওঁর আয় বা আর্থিক ব্যাপারে কিছু জানত না।’ কিন্তু তা হলে হঠাৎ রিয়াকে দায়ী করা কেন? স্পষ্ট নয়। তবে সতীশ জানিয়েছেন, যাঁরা তাঁর মক্কেলের ‘মানহানি’ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।সিবিআই আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে তদন্ত জারি রাখলেও একের পর এক তত্ত্ব ও তথ্য প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে সেখানে। যেমন, সম্প্রতি দিল্লি এইমসের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দল তাদের চূড়ান্ত রিপোর্টে জানিয়ে দেয়, সুশান্তকে হত্যার ব্যাখ্যা টিকছে না। তার মধ্যেই খবর, গত ১৩ জুন অর্থাৎ মৃত্যুর আগের দিন সুশান্তের এক পড়শি রিয়া ও তাঁকে একসঙ্গে দেখেছিলেন। কিন্তু রবিবার সে খবরের সত্যতাও বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে। প্রবাসী বাঙালি অভিনেত্রীর আইনজীবী সতীশ মানশিন্দের কথায়, ‘ডিম্পল থাওয়ানি নামে সুশান্ত-ভক্ত ও রিয়ার এক পড়শির দাবি, তাঁকে কেউ বলেছিলেন ১৩ জুন রিয়াকে সুশান্ত বাড়ি ছেড়ে দিয়ে যান।’ পুরো বিষয়টিকেই ভক্তের গাঁজাখুরি গল্প বলে উড়িয়ে রিয়ার আইনজীবীর বক্তব্য, ‘এ দিন ওঁর বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই।’ এক চ্যানেল সিবিআই সূত্র উদ্ধৃত করে সেই জিজ্ঞাসাবাদের কিছু অংশ প্রকাশ করে। সেখান থেকেই জানা যায়, স্বচক্ষে কিছু দেখেননি ডিম্পল। অন্য কেউ সে রাতে রিয়া-সুশান্তকে একসঙ্গে দেখেন ও তাঁকে জানান। কিন্তু তিনি কে, তার জবাবও এড়িয়ে যান ডিম্পল। তদন্তকারীরা তাঁকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ছেড়ে দেন। তার সঙ্গেই ইডির এমন দাবি।