হক জাফর ইমাম, মালদা: চার দিন ধরে নিখোঁজ ১১ বছরের মেয়ে।মেয়ের কোনো খোঁজ না পেয়ে পুলিশের দরজায় দরজায় ঘুরছেন মা ও বাবা বলে অভিযোগ ।বাবা-মায়ের সন্দেহ নারী পাচার চক্রের পাল্লায় পড়েছে তার মেয়ে। হয়তো তার ঠাঁই হয়েছে কোন অন্ধকার ঘরে। অপহরণকারী কে সেটাও তাদের জানা। মেয়েকে ফিরে পেতে বাবা-মা পুলিশের দরজায় ঘুরেছেন বারবার বলে অভিযোগ। কিন্তু দুর্ভাগ্য যখন নির্ভায়া থেকে হাথরাস কাণ্ডে মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে সরব গোটা দেশ তখন মালদ জেলায় পুলিশের ভূমিকা নারী নিরাপত্তা নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন তুলেছে। সেই প্রশ্ন তুলেছেন নিখোঁজ নাবালিকার অভিভাবকেরা। ঘটনা মালদা বৈষ্ণবনগর থানার অন্তর্গত ঘেরা ভগবানপুর এলাকার। জানা গেছে নিখোঁজ ওই নাবালিকার নাম সারমিন খাতুন। বয়স ১১। কালিয়াচকের একটি বেসরকারী আবাসিক মিশন এর ছাত্রী সে। গত শুক্রবার টিউশন পড়তে যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হয় ওই নাবালিকা ছাত্রী। এরপর আর বাড়ি ফিরেনি সে। সেইদিন রাতেই একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় বৈষ্ণবনগর থানায়। কিন্তু ঘটনার দুইদিন পরও ওই ছাত্রীর কোন খোঁজ না মেলায় আবারো পুলিশের দ্বারস্থ হন পরিবার। এরই মধ্যে ওই ছাত্রীর পরিবার খোজ খবর নিয়ে জানতে পারেন ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রাজীব সেক অপহরণ করেছে। এরপর পরিবারের লোকেরা রাজিব সেখের নামে বৈষ্ণবনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ঘটনার চার দিন হয়ে গেলেও এখনো কোনো খোঁজ মিলেনি ওই ছাত্রীর। তাই আশঙ্কায় দিন গুনছেন নাবালিকা ছাত্রীর বাবা বকুল শেখ সহ পরিবারের সদস্যরা। এই মর্মে সোমবার তারা আবারও বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। মেয়েকে ফিরে পেতে হন্য হয়ে ঘুরেছেন তারা। ওই নাবালিকা মেয়ের পরিবারের অভিযোগ হয়তো তাদের মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে ভিন রাজ্যে পাচার করে দিয়েছে অভিযুক্ত রাজিব শেখ।পুলিশ জানিয়েছে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।