গত সেপ্টেম্বরে প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। মঙ্গলবার লখনউয়ের বিশেষ আদালতে অবস্থান বদল করলেন ২৩ বছরের সেই আইনের ছাত্রী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন চিন্ময়ানন্দ। ফেব্রুয়ারি মাসে জামিন পান। এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে লখনউয়ের বিশেষ আদালতে চলছিল শুনানি। বিচারকের সামনে তরুণী অস্বীকার করেন, যে তিনি চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। মিথ্যে দাবি এবং অভিযোগের জন্য তরুণীর বিরুদ্ধে ভারতীয় অপরাধ দণ্ডবিধির ৩৪০ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার শুনানি। ওই তরুণী উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরে চিন্ময়ানন্দের তৈরি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইন নিয়ে পড়াশোনা করতেন। গত সেপ্টম্বরে তাঁর বাবা অভিযোগ করেন, তরুণীর নিখোঁজ। এর এক সপ্তাহ পর ৫ সেপ্টেম্বর চিন্ময়ানন্দের নামে ধর্ষণের অভিযোগ করেন তরুণী। জানান, এক বছর ধরে তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন চিন্ময়ানন্দ।
উল্লেখ্য, গত বছর ২৩ অগাস্ট ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে তরুণী দাবি করেন, চিন্ময়ানন্দ তাঁকে যৌন নির্যাতন করেছে। পরের দিন থেকে তাঁর খোঁজ না মেলায় ওই তরুণীর পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। এর পর রাজস্থানের জয়পুর থেকে খোঁজ মেলে তরুণীর। সে সময় তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। তিনি দাবি করেন, চিন্ময়ানন্দের ভয়েই তিনি বন্ধুদের সঙ্গে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। গতবছর ২৩ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়ানন্দকে। উত্তরপ্রদেশের সহারনপুরের আশ্রম থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেন বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর আধিকারিকেরা। শাহজাহানপুরের আইনের পড়ুয়া ওই তরুণী প্রথমে চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনেন। পরে তিনি দাবি করেন, বিজেপি নেতা তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে প্রমাণ স্বরূপ মোট ৪৩টি ভিডিও পেন ড্রাইভে করে তদন্তকারীদের কাছে জমা দিয়েছেন ওই তরুণী। পাশাপাশি, তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর কলেজের হোস্টেল-সহ চিন্ময়ানন্দের বেডরুমে গিয়েও তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা।