আজ তৃতীয়া। দুর্গা পুজোর দিনগুলির নিরাপত্তার পুলিশি প্রস্তুতি শুরু। আজ থেকেই পথে নামবে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই নগরপাল অনুজ শর্মা সমস্ত বিভাগীয় ডিসিদের সতর্ক থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। অতিমারী পরিস্থিতিতে ট্রাফিক-সহ সমস্ত বিভাগের পুলিশকর্মীদেরই ডিউটি করার সময় মাস্ক, ফেসশিল্ড, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতিতে গত ৮ মাস যাবত্ কলকাতা পুলিশের সর্বস্তরের কর্মীরা একেবারে সামনে থেকে লড়াই করছেন। খোদ নগরপাল থেকে শুরু করে বহু পুলিশকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ১৩ জন মারাও গেছেন। এমন পরিস্থিতিতেই দুর্গাপুজো শুরু হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কোভিড-আবহে কীভাবে সতর্ক থেকে কাজ করতে হবে সে ব্যাপারে পুলিশের পদস্থ কর্তারা নির্দেশ দিয়েছেন। আলাদা করে ভিড় নিয়ন্ত্রণের বিষয়েও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আজ তৃতীয়ার দিন থেকেই (যদিও সরকারিভাবে ছুটি এখনও শুরু হয়নি) বিভিন্ন মণ্ডপে মানুষের ভিড় হবে ধরে নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। কিছুদিন আগেই দুর্গাপুজো থেকে ভাসান ও লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত কীভাবে ট্রাফিক বিভাগের কাজ পরিচালনা করা হবে, তা নিয়ে ১৫০ পাতার একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ থেকে ভিড় সামলানোর জন্য এবছর ‘স্পেশ্যাল ইন্টারভেনশন টিম’ পথে থাকবে। মোট ৬টি টিম তৈরি করা হয়েছে। ১৯ জন সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার গোটা বিষয়টি তদারকি করবেন। ৭ জন ডেপুটি কমিশনার থাকবেন গোটা কলকাতার পুজোর ভিড় ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণ দেখভালের জন্য। ১১টি অয়্যারলেস ভ্যান পথে থাকবে। কেউ জখম হলে বা অসুস্থ হয়ে পড়লে ১৪টি ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ২৪ ঘণ্টাই মজুত থাকবে হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য। পুজোর নিরাপত্তা আঁটসাঁট করার জন্য গোটা কলকাতা জুড়ে ৮৯টি অতিরিক্ত ক্লোজড সার্কিট টিভি বসানো হয়েছে। সকাল থেকেই গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ পথে থাকবে। ২৬টি পুলিশ কন্ট্রোল রুম ভ্যান রাখা হবে। ৫২টি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হচ্ছে। ডিউটিতে থাকা প্রতিটি পুলিশ কর্মীকেই সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভিড় কোনওভাবে যাতে জড়িয়ে না যায়, তা দেখতে হবে। এবং নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে হবে।