জেলা পুজো

কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়েই এবার হবে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো

কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়েই এবার হবে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো। চন্দননগরের ১০-১২টি পুজো কমিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে দিয়েছিল তাঁরা এই কোভিড পরিস্থিতিতে প্রতিমা পুজোর আয়োজন করতে পারবে না, ঘট পুজো করবে। এরপরেই শুরু হয়ে যায় তীব্র বিতর্ক। তার জেরে মাঠে নামতে হয় চন্দননগরের কেন্দ্রীয় জগদ্বাত্রী পুজো কমিটিকে। বিশেষ বৈঠক ডেকে কমিটি জানিয়ে দেয়, যাঁরা চান তাঁরা মূর্তিপুজো করতে পারেন। তবে জগদ্ধাত্রী প্রতিমার স্বাভাবিক উচ্চতা ও ঐতিহ্য মেনেই তা করতে হবে। কোভিডের কারণ দেখিয়ে প্রতিমার উচ্চতা কমানো যাবে না। যে সমস্ত বারোয়ারি তা করতে রাজি নয় তাঁরা ঘটপুজো করতে পারেন। কিন্তু ছোট ঠাকুর কোনওভাবেই করা যাবে না। চন্দননগরের ঐতিহ্যের সঙ্গে তাল রেখে বারোয়ারির স্থায়ী কাঠামোয় মাতৃ প্রতিমা নির্মাণের মাধ্যমে পুজো করতে হবে। তবে স্বাভাবিক উচ্চতা সম্পন্ন পূজা আয়োজনে অনিচ্ছুকরা, স্থায়ী কাঠামোয় জগদ্ধাত্রী মাতার প্রতিচ্ছবি ফ্লেক্স স্থাপন করেও প্রতিমা বিহীন ঘটপূজার আয়োজন করতে পারবেন।কমিটির এই মত শুনে ১১৯টি পূজা কমিটি চিরাচরিত স্বাভাবিক উচ্চতা সম্পন্ন প্রতিমা নির্মাণের মাধ্যমে পুজো করার মত দেয় এবং ৩৩টি পুজো কমিটি ঘটপূজার পক্ষে মতামত দেয়। চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভজিত্‍ সাউ জানান, ‘দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ও আদালত যে গাইডলাইন দিয়েছে তা মেনেই এখানে জগদ্ধাত্রী পুজো হবে। প্রত্যেক মণ্ডপের ১০ মিটার আগেই ব্যারিকেড করে দেওয়া থাকবে। পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকরাও থাকবেন গোটা বিষয়টা সামলাতে। ১০ ফুট দূরে দর্শনার্থী আটকালেও প্রতিমা তাঁরা দেখতে পাবেন। কারণ এখানকার মা’য়ের উচ্চতা অনেক বড়। অনেক দূর থেকেই দেখা যাবে চারদিক খোলা মণ্ডপ হলে। সে ক্ষেত্রে প্রতিমা দেখতে কোনও সমস্যা হবে না।’