জেলা

বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত বাগনান

বিজেপি কর্মী কিঙ্কর মাঝির মৃত্যু ঘিরে অগ্নিগর্ভ বাগনান। দলীয় নেতাকে খুনের অভিযোগে এদিন বাগনানে ১২ ঘন্টা বন্ধ ডেকেছিল বিজেপি। পরিস্থিতি যাতে কোনওভাবেই হাতের বাইরে চলে না যায়, তার জন্য সকাল থেকেই প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল এলাকায়। তৈরি রাখা হয়েছিল জলকামান, র‌্যাফ। বন্‌ধের সমর্থনে এদিন বিজেপি মিছিল শুরু করতেই আটকে দেয় পুলিশ। মূল অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুরের পর তা জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বাগনানে। তারপর থেকে ওই অভিযুক্তের বাড়ির সামনে পুলিশি প্রহরা বসানো হয়। বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েকজনকে আটক করা হয়, পুলিশ সূত্রে খবর। বন্‌ধের প্রতিবাদে এদিন মিছিল বের করেছিল তৃণমূলও। ইঙ্গিত ছিল, এদিন মৃত বিজেপি নেতার বাড়িতে যাবেন বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। হলও তাই। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এদিন সৌমিত্র খাঁ-কে বাধা দেয় পুলিশ। তারপরই বাগনান থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা । থানার গেট ভেঙে ফেলার চেষ্টা হয়। বাগনানের ঘটনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি বলেন, ‘‌বাংলায় অস্থিরতা তৈরির পরিকল্পনা এবং ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। এটা তারই একটা অঙ্গ। এখন মশা মরলেও বলছে তৃণমূল মেরেছে। বাংলার কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-যুব, খেটে খাওয়া মানুষের স্বার্থে এদের কোনও মিছিল করতে দেখি না। বাংলার পাওনা টাকা আদায়ের জন্য এরা মিছিল করছে বলে তো শুনিনি।’‌