শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এভাবে তুচ্ছ কারণে পুলিশ যদি সাধারণ মানুষকে সমন পাঠিয়ে হেনস্থা করা শুরু করে তাহলে নাগরিকের বাকস্বাধীনতা রক্ষা করতে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতেই হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারের সমালোচনা করলে কাউকে হেনস্থা করা যায় না। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে জেরার জন্য এভাবে ডেকে পাঠানো যাবে না। দিল্লির এক মহিলাকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডেকে পাঠানোর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতার রাজাবাজরে লকডাউন বিধি ভেঙে জমায়েত হয়। সেই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছিলেন দিল্লির রোশনি বিশ্বাস। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করে কলকাতা পুলিশ। অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়াচ্ছেন। জেরার জন্য সমন পাঠায় কলকাতা পুলিশ এবং হাইকোর্ট। এই সমনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন রোশনি এবং তাঁর আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই বিচারপতি ইন্দিরা ব্যানার্জি এবং ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানাল, ‘সীমা লঙ্ঘন করবেন না। ভারত স্বাধীন দেশ। সেভাবেই থাকতে দিন। আমরা, সুপ্রিম কোর্ট নাগরিকদের বাক্স্বাধীনতার অধিকার রক্ষার জন্য রয়েছি। সংবিধান এজন্যই সুপ্রিম কোর্ট তৈরি করেছে, যাতে সাধারণ মানুষকে রাজ্য হেনস্থা করতে না পারে।’ বেঞ্চের কলকাতা পুলিশকে পরামর্শ, অভিযুক্ত রোশনিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেরা করুক পুলিশ। বা ইমেলে প্রশ্ন পাঠাক। নয়তো এ ধরনের ঘটনায় রাজ্যের পুলিশ উদ্দিষ্ট অভিযুক্তর রাজ্যে গিয়ে জেরা করুক। অন্য রাজ্যে ডেকে পাঠিয়ে হেনস্থা চলবে না।