রেলের সঙ্গে বৈঠকের পরের দিনই আবারও চিঠি । চিঠি দিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী । রেলের কাছে অনুরোধ, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রেন চালাতে হবে । একমাত্র তাহলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মনে করছে নবান্ন । শনিবার যাত্রী বিক্ষোভে উত্তাল হয় হাওড়া স্টেশন । রেল কর্মীদের জন্য বরাদ্দ ট্রেনে ওঠার দাবি নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা । তাঁরা হাওড়া স্টেশনে ঢোকার চেষ্টা করলে RPF বাধা দেয় । এতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে । যাত্রীদের দাবি, সড়কপথে তাঁদের কর্মস্থলে পৌঁছতে অনেক সময় লাগছে । খরচও হচ্ছে প্রচুর । তাই তাঁদের ট্রেনে উঠতে দিতে হবে । এই বিষয়টি নজরে আসার পরেই স্বরাষ্ট্র সচিব চিঠি লেখেন পূর্ব রেলের জেনেরাল ম্যানেজারকে । সেই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতেও আপনারা সাব আর্বান ট্রেন সার্ভিস চালু করেছেন । কিন্তু শুধুমাত্র রেলের স্টাফদের সেখানে উঠতে দেওয়া হচ্ছে । যাঁরা সরকারি জরুরি কাজের সঙ্গে যুক্ত তাঁদেরও এই ট্রেনে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না । উঠতে দেওয়া হচ্ছে না জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া সাধারণ মানুষজনকেও । এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় । RPF মানুষের সঙ্গে যে আচরণ করেছে সেটা কোনওভাবেই কাম্য নয় । আমরা মেট্রো চালানোর জন্য রেলকে সহযোগিতা করেছি । অন্য স্পেশাল ট্রেন চলার ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকার সহযোগিতা করেছে । ভিন রাজ্য থেকে মানুষজন যাতায়াত করছেন ।” সেই চিঠির পর গতকাল পূর্ব রেল এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয় নবান্নে । সেই বৈঠকে ট্রেন চালানোর বিষয়ে অনেকটাই ঐক্যমত আসে । কিন্তু রেলের তরফে বলা হয়, আপাতত 10% ট্রেন চালু করা হবে । বিষয়টি নিয়ে ৫ নভেম্বর আরও একদফা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে । সেই বৈঠকেই ঠিক হয়ে যাবে লোকাল ট্রেন চালুর রুপরেখা । কিন্তু তার আগে আরও একবার রেলকে চিঠি লিখলেন স্বরাষ্ট্র সচিব । সেই চিঠিতে তিনি রেলকে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন । পাশাপাশি নবান্নর উপলব্ধি, মাত্র ১০% ট্রেন চললে পরিস্থিতি জটিল হবে । বাদুড় ঝোলা ভিড় হবে ট্রেন গুলিতে । যেটা স্বাস্থ্য বিধি এবং সামাজিক দূরত্ব বিধির পরিপন্থী নয় । আর সেই কারণেই তিনি পর্যাপ্ত সংখ্যক ট্রেন চালানোর জন্য অনুরোধ করেছেন । স্বরাষ্ট্র সচিবের চিঠি পাওয়ার পর রেল কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই এখন দেখার ।