গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে আজ নবান্নে বৈঠক করছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে রয়েছেন গঙ্গাসাগর মেলার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত দপ্তরের প্রধান সচিব, পুলিস কর্তা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসন ও রেলের কর্তাব্যক্তিরা। বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে কিভাবে এই মেলা করা যাবে তা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের তরফে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই মেলা উপলক্ষ্যে দু’টি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এবং তিনটি জল অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবাতে এবার বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। যাতে গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের গঙ্গাসাগর মেলা থেকে নিকটতম চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌঁছতে সুবিধা হবে। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকার ই-দর্শন নামে একটি অ্যাপ চালু করছে। যেখানে ভক্তরা তাঁদের বাড়ি থেকে কপিলমুনির মন্দিরের একটি ‘ভার্চুয়াল ভ্রমণ’ উপভোগ করতে পারবেন। মেলার ইভেন্টগুলি এই অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি প্রচারিত হবে। এদিন নবান্নে মেলার প্রস্তুতি নিয়ে সরেজমিনে বৈঠকে এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে, পুর উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, নগর উন্নয়ন, ফায়ার সার্ভিসের মতো অনেক বিভাগের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, রেলস্টেশনগুলিতে মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন, পরীক্ষার সুবিধা, সহ একাধিক বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মহামারীর প্রেক্ষিতে সাগর দ্বীপ এবং আউটরাম ঘাট থেকে কাকদ্বীপ / নামখানা পর্যন্ত বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। তীর্থযাত্রীদের চলাচল পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি ও ড্রোন ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আগামী জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে হবে গঙ্গাসাগর মেলা। সেজন্য এবার করোনা পরিস্থিতির সতর্কতা হিসেবে কী অবস্থান নেওয়া হবে সেই বিষয়েই এই প্রস্তুতি বৈঠক বলে জানা গিয়েছে।