শিল্পপতি সুব্রত রায় যদি প্যারোলে জেলের বাইরে থাকতে চান, তাহলে অবিলম্বে তাঁকে ৬২,৬০০ কোটি টাকা দিতে হবে। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টকে আদেশ দিতে পিটিশন দায়ের করল সিকিওরিটিস্ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া বা সেবি। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি আদালতে জানিয়েছে, সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার গোষ্ঠীর দুটি কোম্পানি এবং কোম্পানির প্রধান সুব্রত রায়ের মোট দেনার পরিমাণ, সুদ সমেত মোট ৬২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আদালতে সেবি বলেছে, সুব্রত রায় এপর্যন্ত ১৫ হাজার কোটি টাকা দেনা মিটিয়েছেন।সাহারা ই–মেলে বিবৃতি দিয়ে অভিযোগ করেছে, সেবি মিথ্যা দাবি করছে। কারণ বিনিয়োগকারীদের টাকা ইতিমধ্যেই মিটিয়ে দিয়েছে সাহারা। অথচ সেবি ইচ্ছা করেই ১৫ শতাংশ সুদ জুড়েছে। এটা দ্বিগুণ টাকা দেওয়ার অবস্থা বলে অভিযোগ করেছে সাহারা কোম্পানি। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন এখনও স্থির করেনি আদালত।
আট বছর আগে সুব্রত রায়ের দেনা ছিল ২৫,৭০০০ কোটি টাকা। ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, সাহারা গোষ্ঠী নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন করে অনৈতিকভাবে ৩.৫ বিলিয়ন টাকা রোজগার করেছে। কয়েক লক্ষ ভারতীয়, যাঁরা ব্যাঙ্কিং পরিষেবার কোনও সুযোগসুবিধা নিতে পারেন না, তাঁদের কাছ থেকে নগদে অর্থ নিয়েছিল সাহারা। বিনিয়োগকারীদের সন্ধান পায়নি সেবি। সাহারা কোম্পানি সময়মতো দেনা মেটাতে না পারায় জেরে পোরা হয়েছিল সুব্রত রায়কে। দুবছরের বেশি কারাবন্দি থাকার পর গত ২০১৬ সালে প্যারোলে মুক্তি পান তিনি।