কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল চলছে ভারতে। এরই মধ্যে খারাপ খবর। কোভোশিল্ড ভ্যাক্সিন নিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি।করোনা টিকার শেষ মুহুর্তে ট্রায়াল চলছে দেশে। কোভিশিল্ডের উত্পাদন ও প্রস্তুতি পর্ব শনিবারই দেখে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে এই ভ্যাকসিন নিয়েই এবার উঠল বড় অভিযোগ।এই টিকার জেরে স্নায়ুর সমস্যা দেখা দিচ্ছে এবং আরও বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হচ্ছে মানব দেহে এমনই অভিযোগ উঠল। যদিও এই অভিযোগ ‘ভুল এবং মিথ্যা’ সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তরফে এমনটাই জানান হল।
ঠিক কী ঘটেছে?
দেশজুড়ে চলা কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করা ৪০ বছর বয়সি এক ব্যক্তি অভিযোগ করলেন মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার। নিউরোলজিকাল ব্রেকডাউন থেকে বিভিন্ন কগনিটিভ ফাংশনে সমস্যা দেখা দিচ্ছে দেহে এমনটাই জানান। ইতিমধ্যেই এই ভ্যাকসিনের প্রস্তুতকারক সেরাম ইনস্টিটিউটকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি। পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন তিনি। পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই)-এ সেই আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এই ভ্যাকসিন ভারতে তৈরি করছিল এই সংস্থা। যে ব্যাক্তি এই দাবি করেছেন তিনি অভিযোগ করেছেন বর্তমানে তিনি অ্যাকিউট এনসেফালোপ্যাথিতে ভুগছেন। যার অর্থ হল মস্তিষ্ক এবং স্নায়বিক সমস্যা। অভিযোগের ভিত্তিতে সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষাও করা হয় ওই ব্যক্তির। সমস্ত পরীক্ষার ফলাফল নিশ্চিত করেছে ভ্যাকসিন থেকেই এই রোগে আক্রান্ত বছর ৪০ এর ওই ব্যক্তি। নোটিসে বলা হয়েছে, বর্তমানে ট্রমার মধ্যে রয়েছেন ওই ব্যক্তি। যার কারণ এই টিকা। যা সুরক্ষিত নয় একেবারেই। এই ভ্যাকসিনের সমস্ত স্টেকহোল্ডাররা ভ্যাকসিনের এই সব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া লুকিয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের থেকে, আইনি নোটিশে এমন কথাও উল্লেখ করা হয়।প্রসঙ্গত, ১ অক্টোবর এই ব্যক্তির দেহে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়।