কর্ষকদের রুখতে এই ঠান্ডায় জলকামান দেগেছে দিল্লি পুলিশ। ছুড়েছে কাঁদানে গ্যাস। করেছে লাঠি চার্জ। তবু নিজেদের দাবিতে অনড় কৃষকরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আলোচনার প্রস্তাব দিলেও মানেননি। তাঁদের হুঙ্কার, দিল্লি প্রবেশের সমস্ত রাস্তা অচল করে দেবেন। এই হুঙ্কারের জেরেই নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার বাড়িতে গভীর রাতে বৈঠকে বসলেন অমিত শাহ। সঙ্গে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। কৃষক সংগঠনের সঙ্গে ৩ ডিসেম্বর আলোচনায় বসার কথা মোদি সরকারের। তার আগে শাহ অনুরোধ করেছে, কৃষকরা যাতে নির্ধারিত স্থানে প্রতিবাদ করেন। কৃষকরা তাতে কান দিতে নারাজ। তাঁরা জানিয়েছে, দিল্লিতে আসার পাঁচটি প্রবেশপথ- রোহতক, সোনিপত, গাজিয়াবাদ-হাপুর, মথুরা, জয়পুর স্তব্ধ করে দেব। ইতিমধ্যে সেসব রাস্তায় যানজট। যানবাহন স্তব্ধ হয়ে রয়েছে।সোমবার সকালেই দিল্লি পুলিশ শহরের মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছে, ওই রাস্তাগুলি এড়িয়ে চলুন। কৃষকরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা সরকারের সঙ্গে ‘খোলা মনে’ কথা বলতে চান। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আলোচনার পূর্বশর্ত আরোপ করেছে। ৫০০ টি কৃষক সংগঠন এই বিক্ষোভে যুক্ত আছে। সংগঠনের নেতাদের দাবি, আন্দোলনে তিন লক্ষ কৃষক অংশগ্রহণ করেছেন। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রের নতুন তিনটি কৃষি আইন বাতিল করতে হবে।