রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। আর এদিনই রাজ্যের অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করে তুলতে বড়সড় দুটি ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি হল রাজ্যের অকৃষি জমির খাজনা সংক্রান্ত বিষয়ে সুদের ছাড় ও অপরটি হল রাজ্য জুড়ে সরকারি উদ্যোগে ৬১৭টি মেলার আয়োজন যার দরুন ১৫৬ কোটি টাকার অর্থনীতি আবর্তিত হবে। এই দুই ঘোষণাই এবার বাংলার রাজনীতিতে যেমন তৃণমূলকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যেমন অনেকটাই ব্যাকআপ দেবে তেমনি রাজ্যের অর্থনীতিকেও সমৃদ্ধি করবে। বিশেষ করে লোকশিল্পী ও গ্রামীণ হস্তশিল্পীদের আয়ের মুখ দেখাবে। এদিন নবান্ন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে কৃষি জমির ওপর থেকে খাজনা নেওয়া অনেক আগেই বন্ধ করে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তবে অকৃষি জমির ওপর খাজনা বলবত্ ছিল। লকডাউনের জেরে ও আরও নানা কারনে রাজ্যের প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ এখনও সেই অকৃষি জমির খাজনা দিতে পারেননি। রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী খাজনা বাকি থাকলে বাত্সরিক ৬.২৫ হারে সুদও দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। মূলত এই কর আদায় করে ভূমি ও রাজস্ব দফতর। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন যে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের যে সব বাসিন্দা অকৃষি জমির খাজনা দিতে পারেননি তাঁরা তা ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত দিতে পারবেন। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাজনা না দিতে পারার জন্য যে সুদ অতিরিক্ত দিতে হত তাও মুকুব করে দিয়েছেন রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার জন্য সব থেকে বেশি লাভবান হতে চলেছেন শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেনী। সেই সঙ্গে গ্রামীণ স্তরেও বেশ কিছু মানুষ উপকৃত হতে চলেছেন বলেই ভূমি ও রাজস্ব দফতরের আধিকারিকেরা মনে করছেন। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যােপাধ্যায় জানান, নিউটাউনের সিলিকন ভ্যালিতে ২০টি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাকে জমি দেওয়া হল। উইপ্রো জমি চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে। সেই আরজি মেনে তাদেরও জমি দেওয়া হবে। এদিকে কলকাতায় আরও একটি ইউনিট খুলতে চলেছে ইনফোসিস। সবমিলিয়ে রাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগের জোয়ার আসছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, এই শিল্প তৈরি হয়ে গেলে বাংলার যুব সম্প্রদায় চাকরি পাবে। লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। তবে শুধু কলকাতা, নিউটাউন নয়। রাজ্যেরে বিভিন্ন প্রান্তেই বিনিয়োগ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মমতা। জলপাইগুড়িতে একটি সিমেন্ট সংস্থাকে জমি দেওয়া হয়েছে। সেখানে কারখানা গড়ে উঠলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বড় ঘোষণা করা হয়েছে জমির বকেয়া খাজনা নিয়েও। মুখ্যমন্ত্রী একটি পুস্তিকাও প্রকাশ করেছে এদিন। তার নাম ‘বাংলা মোদের গর্ব।’
🔴সরকারি মেলা, এক্সিবিশন, এক্সপো করবে রাজ্য সরকার
🔴৬১৭টা মেলার আয়োজন করা হবে
🔴১৫৬ কোটি টাকার কেনাবেচা হবে
🔴৩.৬৪ লাখ কাজের সৃষ্টি করবে এই মেলা
🔴সিনিয়র মেধা বিজ্ঞানি মেয়েদের জন্য অনুদানের ঘোষণা
🔴বাংলার বঞ্চিত দিল্লি কাছেতা সত্ত্বেও বাংলা এগিয়ে যাচ্ছে বুদ্ধির জোরে
🔴মাঝেরহাট ব্রিজের নাম পালটে নতুন নাম “জয় হিন্দ ব্রিজ”
🔴৩ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হবে ব্রিজটি