সকাল থেকেই রাজ্যের একাদিক জেলায় ভারত বনধের প্রবল প্রভাব পড়তে শুরু করে।। কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষক সংগঠনের ডাকা ভারত বনধের সমর্থনে মধ্যমগ্রাম থেকে শুরু করে যাদবপুর স্টেশন, বাংলার সর্বত্র এই ভারত বনধের প্রবল প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এদিন ভারত বনধে তমলুকে নিমতৌড়িতে অবরোধ শুরু হয় বামেদের।কৃষিবিল প্রত্যাহারের দাবিতে আজ বাংলার বিভিন্ন জায়গায় রেল অবরোধ শুরু।হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইন এবং শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত। রিষড়া, মধ্যমগ্রাম, যাদবপুর, উলুবেড়িয়া সহ এদিন একাধিক জায়গায় সকাল থেকেই বামেরা রেল অবরধে নামে। বহু স্টেশনে রেল অবরোধের জেরে আটকে যায় লোকাল ট্রেন। যাদবপুরে ৪০ মিনিট রেল অবরোধের পর তা উঠে যায়। একই পরিস্থিতি রিষড়াতেও। যার জেরে সাধারণ মানুষ পড়েছেন বিপাকে।কলকাতার আইটি সেক্টের সেভাবে বনধের প্রভাব পড়েনি। খোলা রয়েছে অফিস। সকালে থেকে ওডিশার রাজধানী ভুবনেশ্বরে, ভুবনেশ্বর রেল স্টেশনে রেল অবরোধ করেন কৃষক সংগঠনের কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন বাম রাজনৈতিক দল এবং ট্রেড ইউনিয়নের কর্মী-সদস্যরা। অন্যদিকে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজওয়াড়ায় ভারত বনধের সমর্থনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বাম রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। বিজওয়াড়ার রাস্তায় হাজার হাজার বনধ সমর্থকদের প্রতিবাদের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পরে রাস্তাঘাট। বিপর্যস্ত হয় যানবাহন চলাচল। বিজওয়াড়া ছাড়াও ভিজিয়ানাগারাম জেলার পার্বতীপুরমে রাস্তার উপর বসে প্রতিবাদ দেখান বামেরা। এছাড়া ভারত বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি মহারাষ্ট্রের পুণের এপিএমসি মার্কেটে। অন্যান্য দিনের মতোই মঙ্গলবার সকালেও বাজার ছিল খোলা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ‘কৃষকদের আন্দোলনকে আমরা সমর্থন করছি। কিন্তু, বাজার খোলার রাখার নেপথ্যে কারণ হল ভিন রাজ্য থেকে আসা কৃষিপণ্য যাতে মজুত করা যায়, নাহলে সমস্ত কিছু নষ্ট হয়ে যাবে। আগামীকাল সমস্ত কিছু বিক্রি করা হবে।’ অন্যদিকে বিহারের রাজধানী পাটনায় সকাল থেকেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। এদিন সকালে পাটনার রাজপথে গাড়ির সংখ্যা কম ছিল।