এবার সিবিআই নজরে বিএসএফের ৪ আধিকারিক যারা জড়িত ছিলেন সীমান্তে গরু পাচার চক্রে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের মদরে গরু পাচার চক্রের ঘটনা আগেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে। সেই ঘটনায় অতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন সতীশ কুমার নামে এক বিএসএফ আধিকারিক যার বাড়ি কর্ণাটকে হলেও এই রাজ্যে কর্মরত ছিলেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার দায়িত্বে। এমনকি সল্টলেকে তাঁর বাড়িও আছে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ খুঁজে পেয়েছে গরু-পাচারের সঙ্গে যোগ রয়েছে কয়লা-পাচারেরও। এনামূল আর লালা সেই দুই চক্র চালাতো আর তাদের এই কাজে সাহায্য করতো সতীশ কুমার সহ বিএসএফের কয়েকজন আধিকারিক। বিনিময়ে এই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আধিকারিকেরা মোটা টাকা কামিয়ে নিতেন। এবার সেই ঘটনার জেরে জাল গুটোতে শুরু করেছে সিবিআই। তলব করেছে বিএসএফের ১ ডিআইজি, ২ অ্যাসিসটেন্ট কমান্ড্যান্ট ও ১জন ডেপুটি কমান্ড্যান্টকে। জানা গিয়েছে, বিএসএফের এই চারজন আধিকারিককে চলতি সপ্তাহের মধ্যে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে। আগেই গরুপাচার মামলায় সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁকে জেরা করেই এ রাজ্যের সীমান্তে গরুপাচার সিন্ডিকেটে আরও কয়েকজন বিএসএফ আধিকারিকের সরাসরি যুক্ত থাকার তথ্য পান তাঁরা। এমনকি এই বিষয়ে বিএসএফ-এর তরফে বেশ কিছু নথিপত্র হাতে পেয়েছে সিবিআই। তার পরেই এই তলব। মনে করা হচ্ছে এই চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই গ্রেফতারির পথে হাঁটবে সিবিআই। এমনকি সেক্ষেত্রে এই চারজনকে এনামূল ও সতীশকুমারের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে পারেন সিবিআই আধিকারিকেরা।