চলছে কৃষকদের বিক্ষোভ । তবে এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধানের পথ খোলেনি । এরই মধ্যে আজ মৃত্যু হল আরও এক আন্দোলনরত কৃষকের । তিনি পঞ্জাবের মোহালির বাসিন্দা। বছর সত্তরের গুরমীত বাবুর বয়সের ভার পড়েছে শরীরে । চাষ করেই দিন গুজরান করছিলেন । ঠিকঠাকই কেটে যাচ্ছিল দিনগুলি । কিন্তু এরই মধ্যে লকডাউন । তারপর বিতর্কিত কৃষি আইন । ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাবেন কি না, তা ভেবেই কূল কিনারা পাচ্ছিলেন না । তাই বাকিদের সঙ্গে এই ভেঙে যাওয়া শরীর নিয়েও সামিল হয়েছিলেন প্রতিবাদে । ভেবেছিলেন কিছু একটা সমাধান হবে । মোদি সরকার হয়তো মুখ তুলে চাইবে । কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকার মুখ তুলে চাইল কি না, তা আর দেখে যেতে পারলেন না তিনি । আজ বিক্ষোভরত অবস্থায় সোনিপত-সিঙ্ঘু সীমান্তে মৃত্যু হয় তাঁর ।প্রায় কুড়ি দিন হয়ে গেল কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে দিল্লির বাইরে । পঞ্জাব-সহ একাধিক রাজ্য থেকে কৃষকরা সামিল হয়েছেন বিক্ষোভে । তাঁদেরই মধ্যে একজন ছিলেন গুরমীত । প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনি । এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত ৪ জন কৃষক সোনিপত-সিঙ্ঘু সীমান্তে প্রাণ হারালেন । এদিকে পাঁচ দফা বৈঠকের পরও এই সমস্যার কোনও সমাধানসূত্র এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি । আজ সিঙ্ঘু সীমান্তে কৃষক নেতা জগজিৎ ডালেওয়াল বলেন, “সরকার বলছে এই আইনগুলি বাতিল করবে না । আমরা বলছি আমরা আপনাদের বাতিল করিয়ে ছাড়ব । এখন এই লড়াই এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে আমরা যাই হোক না কেন জয়ের জন্য দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ ।”