শুভেন্দুর দল ছাড়ার দিনে বাঁধ ভাঙল তাঁর। এতদিন মধ্যস্থতা করে এসেছেন। দলনেত্রীর নির্দেশ পালন করে শুভেন্দুর মানভঞ্জন করার চেষ্টা করেছেন। শালীনতাও বজায় রেথে এসেছেন। আজ মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন শুভেন্দু সম্পর্কে। তাঁর কথায়, শুভেন্দু আসলে মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইত। আগে থেকেই জানা ছিল বিজেপিতে যোগ দিতে মুখিয়ে রয়েছেন শুভেন্দু।এ দিন যাবতীয় ক্ষোভ উগড়ে দেন সৌগত রায়। তিনি বলেন, “শুভেন্দুর ইচ্ছে ছিল ওঁর উপর ৫-৬টি জেলা ছেড়ে দেওয়া হোক। ও কখনও প্রকাশ্যে বলেনি, কিন্তু ও চাইত মুখ্যমন্ত্রী বা উপমুখ্যমন্ত্রী হতে। আমি আগেই জানতাম ও বিজেপিতে যাবে।”তৃণমূলের বর্ষীয়ান এই সাংসদ বলেন, ওর সঙ্গে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আলোচনা হয়েছে আমাদের । ২ ডিসেম্বর বলেছিল আমাদের সঙ্গে কাজ করা মুশকিল । তখনই আমরা ঘোষণা করেছিলাম ওঁর সঙ্গে আলোচনা করব না । ও বিজেপির সঙ্গে আলোচনা করে দেনা পাওনা সব ঠিক করে ফেলেছিল । বিশ্বাসঘাতকতা করলে আমাদের আর কী করার আছে । দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কি না জানা নেই । তবে ও বিজেপিতে চলেই গিয়েছে ।” সৌগত রায়ের পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা দেওয়া নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও । তিনি বলেন, “ও ইস্তফা দেবে এবং বিজেপিতে জয়েন করবে এটা জানা কথা ছিল । ওভার অ্যাম্বিশাস । ওর মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী পদ-সহ বড় বড় পদ চাই । লোভে যাচ্ছে । নিঃসন্দেহে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে । সমস্ত ক্ষমতা এতদিন ধরে ভোগ করে এসেছে । ২০১৪ সালে সাংসদ হয়েছিল । এরপর ক্ষমতার লোভে 2016 সালে বিধায়ক ও মন্ত্রী হয়ে গেল । বিশ্বাসঘাতকতা । এতদিন বিজেপির বিরুদ্ধে বলেছে । এবারে বিজেপির পক্ষে বলবে । এতে কিছু এসে যায় না । মানুষ সব দেখছে । মানুষ সব বিচার করবে । যে যাওয়ার সে চলে যাবে । যাক না । ২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হলে তখন যেন ফিরে না আসে ।”