কলকাতা

১০ বছর ধরে দলে ছিলেন, সব ভোগ করেছেন, মন্ত্রী হয়েছেন, এতই যদি পচা, তা হলে ছিলেন কেন? শুভেন্দুকে কটাক্ষ কল্যাণের

শুভেন্দু তথা বিজেপির আক্রমণের জবাব দিতে প্রস্তুতই ছিল তৃণমূল। তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনে আগে থেকেই সাংবাদিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। মেদিনীপুরে বিজেপির সভা শেষ হতেই সাংবাদিক বৈঠকে এ ব্যাপারে প্রশ্নের জবাবে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওনার তো সত্‍ সাহস হল না ভাইপো কে তাঁর নাম নেওয়ার! ওনার মায়ের নাম তো গায়ত্রী অধিকারী। মা শেখাননি যে যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করো তাঁর নাম নিতে হবে? নামটা নেওয়ার মতো ক্ষমতা ওনার হল না? উনি একবার নামটা নিয়ে দেখুন না!’ তিনি বলেন, ‘আমিও বলছি, আমরাও এবার থেকে হলদিয়া, তমলুক, কাঁথির কন্ট্রাকটরদের যে মাস্টার, তাকে আমরা শেষ করব, রাজনৈতিক ভাবে’। কল্যাণ বাবু বলেন, ‘আমরা কি কিছু জানি না? হলদিয়া তমলুক কাঁথিতে কন্ট্রাকটরদের রাজার রাজা করে আমরাও জানি। শুনলাম উনি বলেছেন, তৃণমূল দলটা পচে গিয়েছে। দলটা যদি পচে গিয়ে থাকে, তা হলে আপনিও তো পচে গিয়েছেন সেই দলে থেকে। দশ বছর ধরে দলে ছিলেন, সব ভোগ করেছেন, মন্ত্রী হয়েছেন। এতই যদি পচা, তা হলে ছিলেন কেন? আপনার ব্রেনের থিঙ্কিং প্রসেসটা কি অত্যন্ত স্লো? এটা বুঝতে দশ বছর লেগে গেল?’ দল বদলেছেন। এবার বুলেটপ্রুফ গাড়ি পাবেন। তিরিশটা সিআইএসএফ জওয়ান পাবেন। দয়া করে ওই নন্দীগ্রামেই আবার দাঁড়াবেন কিন্তু। আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি বলে বলে হারাব’। • ‘১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে আপনি ছিলেন না। অতএব দাবি করবেন যে প্রথমদিন থেকে আপনি তৃণমূল কংগ্রেস করছেন। শিশির অধিকারী এই দাবি করলে মেনে নেবো। আপনি না। আপনারা পরিবারতন্ত্রের কথা বলছেন, কই আপনি অধিকারি বাড়ির পরিবারতন্ত্রের কথা তো বললেন না! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারে কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে চান না। বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করেছেন। ভাগ্যিস জেলার পর্যবেক্ষক পদ তুলে দেওয়া হয়েছিল। নইলে পিছন থেকে কত বড় ছুরিটা মারত ভাবুন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আর যে বলেছেন, তিন অঙ্কে তৃণমূল যেতে পারবে না, তাকে বলি আপনারা ৫০ টা পেরোতে পারবেন না। আর ২১০ এর উপর সিট নিয়ে মমতা সরকার গড়বে আবার’। কল্যাণ বাবু বলেন, ‘অর্থনীতি নিয়ে বলছেন! মাননীয় অমিত শাহজি আপনার লজ্জা লাগল না একথা বলতে। দেশের জিডিপি আজ তলানিতে ঠেকেছে। আর আপনি বড় বড় কথা বলছেন!’ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেন, ‘যে ভাবে আইপিএস অফিসারদের ডেকে পাঠাচ্ছেন তা অসাংবিধানিক। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলছেন’। অমিত শাহ বাংলা সম্পর্কে কিছুই জানে না। তাই ভুলভাল বলে গেছেন, মিথ্যে বলে গেছেন’। বিজেপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মেদিনীপুরের ওই কলেজ মাঠে আমি খেলতাম ক্লাস ফাইভ থেকে এইট পর্যন্ত। সেই মাঠ আপনি ভরাতে পারেননি’। • ‘একটু আগে সারা বিশ্বের সব থেকে দুর্নীতিপরায়ণ পার্টি মেদিনীপুর কলেজ মাঠে সভা করল। মাঠে লোক ভরেনি। দিলীপ ঘোষ যখন বলা শুরু করলেন তখন থেকে ফাঁকা হওয়া শুরু হল। আর অমিত শাহ যখন বলছেন তখন মাঠা ফাঁকা। কারণ অমিত শাহকে কেউ শুনতে চান না। তাই তো উনি বলেছেন, আরে ভাই দাঁড়াও’। • ‘আপনারা কৃষক বন্ধু নন, কৃষকদের বাড়ি খেতে গেলেই কৃষক বন্ধু হওয়া যায় না। আপনারা দাঙ্গাবাজের দল’।