মাত্র ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যেই ভারতের প্রথম ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়ে যাবে। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। ব্রিটেনে টিকাকরণ শুরু হয়ে গেছে। গণহারে টিকা দিচ্ছে আমেরিকাও। ভারতে টিকাকরণ কবে শুরু হবে সে নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। দেশে কোভিড সংক্রমণ ইতিমধ্যেই কোটি ছাড়িয়েছে। সংক্রমণের হার কিছু রাজ্যে এখনও বেশি। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে টিকা নিয়ে আসার প্রস্তাবও খারিজ করে দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তাই টিকা ঠিক কবে আসবে সে নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, অল্প দিনের মধ্যেই দেশে টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে। ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে প্রথম দফায় টিকাকরণ শেষ করে ফেলা হবে। টিকা সুরক্ষিত ও নিরাপদ হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন হর্ষবর্ধন। বিশ্বে এখন ১০০ রকম করোনার টিকা তৈরি হয়েছে। যার মধ্যে ৩০টি ভারতেই। হর্ষবর্ধন বলেছেন, দেশে পাঁচ রকমের ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে। তিন কোম্পানির টিকা তাদের চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। ইতিমধ্যেই সেরাম ও ভারত বায়োটেক জরুরি ভিত্তিতে টিকা নিয়ে আসার প্রস্তাব পেশ করেছিল। যদিও সে প্রস্তাব আপাতত নাকচ করে আরও বেশি তথ্য জমা করতে বলেছে কেন্দ্রের কোভিড টাস্ক ফোর্স। হর্ষবর্ধন বলছেন, টিকার বন্টন ব্যবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই গাইডলাইন তৈরি হয়েছে। টিকা কী পরিমাণে রাজ্যগুলিতে বিতরণ করা হবে, টিকার অগ্রাধিকার কারা পাবেন, সে বিষয়ে নামের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। ১৩৫ কোটির দেশে সকলেই প্রথম ধাপে টিকা পাবেন সেটা সম্ভব নয়। ৩০ কোটিকে আগে দেওয়া হবে টিকা। চার ক্যাটেগরিতে টিকাকরণ হবে।