তৃণমূলে যোগ দিলেন সৌমিত্র খাঁ-জায়া সুজাতা খাঁ। আর এরপরই বিবাহ বিচ্ছেদের আইনি নোটিস পাঠালেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সৌমিত্র বলেন, ‘রাজনীতি আর ব্যক্তিগত জীবন এক হওয়ার নয়। কিন্তু ১০ বছরের বিবাহিত জীবন রাজনীতির কারণে এভাবে আলাদা হবে তা জানা ছিল না। আমি শুধু সুজাতাকে বলতে চাই ওঁর এই সিদ্ধান্তে আমি বাধা দিচ্ছি না। রাজনীতির উর্ধ্বে কিছু ভালবাসা ও সম্পর্ক থাকে। স্বামী-স্ত্রী বিপদে একসঙ্গে থাকে, একে ওপরের পাশে থাকে। সেখানে রাজনীতি চলে আসবে এটা ভাবা যায়নি।’ সোমবার সাংবাদিক বৈঠকের শুরু থেকেই সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-এর গলায় ছিল কান্নার সুর। কথা বলতে বলতে কখনও ধরে আসে গলা। বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়েছিলাম মানুষের স্বার্থে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতাও করেছিলাম, করছি। দু’ বছর আগে থেকেই সোচ্চার হয়েছিলাম। সেদিনে দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল দা পাশে ছিলেন। সেদিন সুজাতাও আমার সাথ দিয়েছিল। এটা আমি অস্বীকার করিনি, আজও করছি না।’ এরপরই সৌমিত্রর বক্তব্য, ‘আমার দুঃখ লাগছে একটাই যে সুজাতা মন্ডল খাঁ, সে আমার সহধর্মিনী, আমার স্ত্রী। আমারও তিন মাস ঝগড়া চলছিল। দুই পরিবার ছিল তখন পাশে। তুমি ছাড়া কোনও মহিলার সঙ্গে একদিনও কাটাইনি।’ কান্না গলায় নিয়েই বিজেপি সাংসদ বলে চলেন, ‘যেদিন সুজাতার চাকরি চলে গেল তখন বলেছিলাম আমার বেতনের অর্ধেক তোমায় দেব। তোমার অ্যাকাউন্টে ৭০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিতাম। মমতা, অভিষেকের জন্য তোমার চাকরি হয়নি।’ সৌমিত্র খাঁ-র দাবি, ‘আমি এখনও দোতলা বাড়ি করতে পারিনি। সুরক্ষা আমি তোমার বাড়িতে রেখেছিলাম। কিন্তু বিজেপি না থাকলে সৌমিত্র খাঁ জিততে পারত না। মোদী-অমিত শাহজি আমাকে সহযোগিতা করেছিল। আজ একটা সভা ছিল, ভেবেছিলাম যাব। কিন্তু…’ সম্মেলন শেষে সাংসদ বলেন, ‘শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথ দিলে।’ এরপর কিছুটা হুঁশিয়ারির সুরে তৃণমূলের উদ্দেশে বলেন, ‘পরিবার ভাঙছেন তো ভাঙুন।ক্ষতি নেই। আমি সুজাতাকে খাঁ পদবি থেকে মুক্তি দিলাম। মমতার বিরুদ্ধেই কথা বলব। ভুল করলে সুজাতা। অনুরোধ করব পদবীতে খাঁ নয় মন্ডল লিখো।’ এদিকে, বিজেপির চাপেই সৌমিত্রর বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত, এমন প্রশ্নই তুললেন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ।