কলকাতা

তাজপুর বন্দরের দরপত্র, সিঙ্গুরে শিল্প পার্ক, রাজ্যের শিল্পস্থাপনে জোড়া সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর, হবে ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান

রাজ্যের শিল্পায়নের জন্য সুখবর শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আগামী সোমবার তাজপুর বন্দর নিয়ে দরপত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন দেবে রাজ্য সরকার। মোট ৪,২০০ কোটি টাকা এই প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে। এতে কোনও জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে এটা দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর। কমপক্ষে ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে এখানে।’ তিনি জানিয়েছেন, দেশ-বিদেশের সব সংস্থাই এই বন্দর তৈরির জন্য দরপত্র জমা দিতে পারবে। সেখানে থেকে গ্লোবাল টেন্ডারের মাধ্যমে চূড়ান্ত সংস্থা বেছে নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বর্ধমান, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া থেকে লৌহ ইস্পাত রফতানি বাড়বে। বহু মানুষ কাজ পাবেন। এই বন্দর রাজ্যের শিল্পায়নকে নতুন পথে নিয়ে যাবে।’ অন্যদিকে, রাজ্যে কোনও প্রকল্পের জন্যই জোর করে জমি কোথাও নেওয়া হবে না বলে এদিন ফের স্পষ্ট করে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। পাশাপাশি, সিঙ্গুরকেও যে তিনি ভোলেননি, তা এদিন ফের স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ঘোষণা করেছেন সিঙ্গুরে একটি শিল্প পার্ক। এখানে একটি অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি করা হচ্ছে রাজ্যের পক্ষ থেকে। এখানে সবরকম অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকবে। যাতে এখানকার কৃষকেরা সেখানকার উত্‍পাদিত ফসল বিক্রি করতে পারেন। মোট ১১ একর জমির উপর এই পার্ক তৈরি করছে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষুদ্রশিল্প পরিকাঠামো নিগম। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্পপতিরা যেমন জমি চাইবেন তেমনি দেওয়া হবে। প্রয়োজনে পরিকাঠামো রাজ্য সরকার তৈরি করে দেবে। এর জন্য ১০ থেকে ৩০ কাঠা পরিমাণের জমি প্লট প্লট করে দেওয়া হবে। তার জন্যও দরপত্র চাওয়া হচ্ছে।’ এছাড়াও, পানাগড় শিল্প পার্ক ধানুকা গোষ্ঠী ৩৮ একর জমিতে ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ফুড প্যাকেজিং শিল্পের নতুন কারখানা করবে বলেই জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, নিউটাউন সিলিকন ভ্যালিতে কোনও এক বা দুই সময় নয় সারা বছর ধরে সবসময় জমি দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উইন্ডো খুলে রাখবে হিডকো বলেই জানান তিনি। এখানে ইনফোসিস, উইপ্রো আসছে সেই কথা রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখে জানিয়েছে বলেই জানান মুখ্যমন্ত্রী।