কলকাতা

‘রবীন্দ্রনাথের পরিবার নিয়ে ভুল তথ্য় মোদির, উচ্চারণ ভুল’! প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ তৃণমূলের

বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানে কবিগুরুর পরিবার সম্পর্কে ভুল তথ্য় পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, এমন অভিযোগই করল তৃণমূল। মোদীর ভাষণ শেষের পরই ব্রাত্য় বসু বলেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথের পরিবার সম্পর্কে ভুল তথ্য় পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মেজদাকে (সত্য়েন্দ্রনাথ ঠাকুর) বলেছেন বড়দা। জ্ঞানদানন্দিনী উচ্চারণ ভুল করেছেন’’।মোদীকে নিশানা করে ব্রাত্য় এদিন আরও বলেন, ‘‘ওঁর মুখে বারবার কেন গুজরাত এল বুঝতে পারলাম না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়ে কেন বারবার গুজরাতের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের যোগযোগ নিয়ে কথা বলতে উৎসাহী। উনি তো বিশ্বকবি। জ্ঞানদানন্দিনী দেবীকে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে শাড়ির আঁচলের প্রসঙ্গ যা বলেছেন, তা অর্ধসত্য় কথা। গুজরাতি মহিলাদের পাশাপাশি পার্সি মহিলাদের থেকেও শিখেছিলেন শাড়ির আঁচল ফেলার কায়দা। অথচ পার্সি মহিলাদের নাম নিলেন না প্রধানমন্ত্রী’’।স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদানের কথা বলতে গিয়ে কেন কলকাতা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের নাম নেননি প্রধানমন্ত্রী, তা নিয়েও সরব হয়েছেন ব্রাত্য়। এদিন মোদী বলেন, ‘‘গুরুদেবের বড় ভাই সত্য়েন্দ্রনাথ ঠাকুর আইসিএসে ছিলেন যখন, ওঁর নিয়োগ গুজরাতের আহমেদাবাদে হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রায়শই গুজরাত যেতেন। ওখানে বেশ লম্বা সময় কাটিয়েছেন। আহমেদাবাদে থাকাকালীন ‘বন্দি ও অমর ’ ও ‘নীরব রজনী দেখো’ লিখেছিলেন। ক্ষুধিত পাষাণের একটা অংশ ওখানে লিখেছিলেন উনি…সত্য়েন্দ্রনাথের স্ত্রী জ্ঞানেন্দনী দেবী (পড়ুন, জ্ঞানদানন্দিনী দেবী) যখন আহমেদাবাদে ছিলেন, তখন দেখলেন, স্থানীয় মহিলারা শাড়ির আঁচল ডানদিকে রাখতেন। এর ফলে কাজ করতে মহিলাদের সমস্য়া হত। বাঁ দিকে শাড়ির আঁচলের প্রচলন উনিই চালু করেন, লোকে তাই বলে’’।

https://www.facebook.com/AITCofficial/videos/436457477395650